তারস্বরে: দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বক্স। ফাইল চিত্র
শব্দতাণ্ডব রোধে নিষিদ্ধ বড় মাপের সাউন্ড বক্স বা ডিজে বক্স বাজানো বন্ধ করতে দুর্গাপুজোর আগে বৈঠক করেছিল কলকাতা পুলিশ। তা সত্ত্বেও ডিজে-তাণ্ডব আটকাতে পারেনি পুলিশ। এ বার তাই কালীপুজোর আগে ডিজে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করল পুলিশ। সেই সঙ্গে শব্দের দাপট পুরোপুরি বন্ধ করতে পুজো কমিটিগুলির থেকে সম্মতি আদায় করেছে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানার আধিকারিকরা।
প্রতি বছরই পুজোর বিসর্জনে ডিজে বক্সের দাপট দেখা যায়। যা থেকে বাদ যায়নি এ বারের দুর্গাপুজোও। উত্তর কলকাতায় গঙ্গার ঘাটমুখী বিভিন্ন রাস্তায় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় তারস্বরে ডিজে বাজানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের অবশ্য দাবি, দুর্গাপুজোর বিসর্জনে
বেশিরভাগই বড় সাউন্ডবক্স বেজেছে। কালীপুজোর সমন্বয় বৈঠকেও ডিজে বক্স বাজানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কালীপুজোয় শব্দদানবকে রুখতে পুলিশকে সাহায্য করবে বলেও বিভিন্ন পুজো কমিটির তরফে
জানানো হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরেই ডিজের দাপট রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। তা সত্ত্বেও বড় মাপের সাউন্ড বক্স বা ডিজে বক্স বাজানো পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। এ বার কালীপুজোয় ডিজে-তাণ্ডব ঠেকাতে তাই শুরু থেকেই কোমর বাঁধছে পুলিশ।
ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে ডিজে বক্সের মালিকদের থানায় ডেকে এনে ওই সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা পুলিশের কথা শুনেছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা বিশেষ কার্যকর হয়নি। তাই এ বার বিভিন্ন থানার অফিসারেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে এলাকার ডিজের দোকানে হানা দিয়েছেন। এলাকাবাসীদের সামনেই ওই দোকানের মালিকেরা পুলিশ আধিকারিকদের সম্মতি জানিয়েছেন যে, বিসর্জনের সময়ে ডিজে বক্স তাঁরা ভাড়া দেবেন না। এক পুলিশ কর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুধু বাঁশদ্রোণী থানাই এলাকার প্রায় ১১ জন ডিজে মালিকের কাছ থেকে এ বিষয়ে সম্মতি আদায় করেছে।’’ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনও পুজো কমিটির প্রতিমার সঙ্গে ডিজে বক্স চোখে পড়লেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকেও ডিজে না বাজানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। অনেক সময়ে আবার জেলা পুলিশের এলাকার ডিজে ভাড়া নিয়ে কলকাতা পুলিশের এলাকায় এসে তা বাজানোর অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে কলকাতা পুলিশের থানাগুলিকে লাগোয়া জেলা পুলিশের থানাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা কোনও পুজো কমিটি বিসর্জনের সময়ে ডিজে বক্স বাজালে তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy