যাচাই: বাজির শব্দমাত্রা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার, টালা পার্কে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
আগেই ৯০ ধরনের বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাজ্য দূষণ পর্ষদ। এ বার আরও ১২ ধরনের বাজি নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হলো।
বুধবার টালা পার্কে বাজির শব্দ মাপার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, দমকল, পুলিশের উপস্থিতিতে মোট ষোলো রকমের বাজির শব্দ পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে বারো রকম বাজির শব্দ নব্বই ডেসিবেলের বেশি হওয়ায় সেগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বছরে বাজির শব্দ মাপার জন্য আগেই শহরের পাঁচটি বাজি বাজারকে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ দিন টালা পার্কে মাত্র তিনটি বাজি বাজারের প্রতিনিধিরা বাজির নমুনা নিয়ে হাজির ছিলেন। কালিকাপুর বাজি বাজারের কোনও প্রতিনিধি এ দিন উপস্থিত ছিলেন না। আবার বেহালা বাজি বাজারের প্রতিনিধি এলেও বাজির কোনও নমুনাই নিয়ে আসেননি। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডিসি (আরএফ) বিশ্বজিৎ ঘোষ। নমুনা না নিয়ে আসার জন্য বেহালা বাজি বাজারের এক প্রতিনিধিকে ডেকে ভর্ৎসনা পর্যন্ত করেন বিশ্বজিৎবাবু। বাজির শব্দ মাপার পরীক্ষার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে গত মাসেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। তাও হাজির হননি কেন প্রশ্ন করলে কালিকাপুর বাজি বাজারের সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘‘টালা পার্কে এ দিন যাওয়া উচিত ছিল। কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য যেতে পারিনি। আমাদের না যাওয়াটা বড় ভুল হয়েছে।’’
অন্য বছরের তুলনায় এ বার পরীক্ষার জন্য নমুনার সংখ্যাও কম ছিল। টালা বাজি বাজারের সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘আগের বছরে যে সব বাজি নিষিদ্ধ হয়েছে, সেগুলি পুনর্বিবেচনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই এ বার বাজির নমুনার সংখ্যা কম।’’ এ দিন টালা বাজি বাজারের তরফে চারটি বাজির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিনটি ব্যবহারের ছাড়পত্র পায়। নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত ১০২ রকমের বাজির তালিকা এ বছর থেকে মিলবে কলকাতা বাজি বাজারের ওয়েবসাইট (www.kolkatabazibazars.com) ও অ্যাপ (কেবিবি)-এ।
গত সোমবার বাজির শব্দ মাপার দিন ঠিক হলেও দুর্যোগের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। বুধবার অনুপস্থিত অনেক ব্যবসায়ী জানান, সোমবার আসবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বুধবার আর একটা দিন ধার্য হওয়ায় কাজ ফেলে আসতে পারেননি। যদিও লালবাজারের এক কর্তার অভিযোগ, ‘‘সম্প্রতি লালবাজারে একটি বৈঠকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল, চারটি লাইসেন্স না থাকলে বাজি পরীক্ষায় বসা যাবে না। সেই লাইসেন্স না থাকার জন্যই এ দিন বেশির ভাগ ব্যবসায়ী গরহাজির ছিলেন।’’ লালবাজার সূত্রে খবর, বাজি পরীক্ষার জন্য পুলিশ, দমকল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের লাইসেন্স থাকতেই হবে। এ ছাড়াও, যে সমস্ত ব্যবসায়ী পনেরো কিলোগ্রামের উপর মশলা নিয়ে কাজ করেন তাঁদের সেন্ট্রাল এক্সপ্লোসিভ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ বাজি ব্যবসায়ীর কাছে চারটি লাইসেন্সই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy