ধস্তাধস্তির মুহূর্ত। এই ব্যক্তিকে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
খাস কলকাতার বাঘা যতীনে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এক পাড়াকেন্দ্রিক সভায় মেয়েদের উপরে হামলার ঘটনার পরে এ বার পুলিশি ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।
রবিবার রাতে হামলার ওই ঘটনার পরে যাদবপুর থানার পুলিশ তিন জন স্থানীয় যুবককে ধরলেও সোমবার তাদের মধ্যে দু’জনই আদালতে জামিন পেয়ে গিয়েছে। পুলিশ কাউকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার জন্য আবেদন জানায়নি। এমনকি, তদন্তকারী অফিসার নিজে শুনানির সময়ে উপস্থিত পর্যন্ত ছিলেন না বলে অভিযোগ। যার ফলে ধৃত দু’জনের জামিন পেতে প্রকারান্তরে সুবিধা হয়েছে বলেই মনে করছেন অভিযোগকারীরা। তবে পুলিশ যা-ই করুক, শহরের ভিতরে এমন শান্তিপূর্ণ দলহীন রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালীন এই ধরনের দৌরাত্ম্যে নাগরিক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। যে কারণে এ দিন সন্ধ্যায় বাঘা যতীনে বিরাট প্রতিবাদসভা এবং মিছিল হয়।
পুলিশ জানায়, বাঘা যতীন-কাণ্ডে যে তিন জনকে ধরা হয়েছিল, তারা হল সায়ন লাহিড়ী, শৌনক সরকার ও সুমনকল্যাণ দাস। এর মধ্যে সায়নকে পালানোর সময়ে ধরে ফেলেন অভিযোগকারীরা। পরে পুলিশ আরও দু’জনকে ধরে। সায়নের বিরুদ্ধে মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ দিন তার জামিনের আর্জি নাকচ করে দেন বিচারক। তবে বাকি দু’জন অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যায়। অভিযোগকারিণীদের তরফে দেবলীনা নামে এক চিত্র পরিচালক বলেন, ‘‘পাড়ার ভিতরে না বাইরে, কোথা থেকে ক’জন এসে আমাদের সভা পণ্ড করার চেষ্টা করল, তা পুরোটা বুঝিনি। পাড়ায় ঢুকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে কারা কেন গোলমাল বাধাল, সেটা পুলিশি তদন্তে উঠে আসবে বলে আশা করি।’’
অভিযোগ, রাতে তখন সাইকেল রিকশায় ঘুরে ঘুরে প্রচার চলছিল। হঠাৎ মুখে ফেট্টি বেঁধে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে জনা দশেক ছেলে তেড়ে আসে। স্থানীয় এক তরুণী বলেন, ‘‘বিষয়টি দুশ্চিন্তার। আমরা কাজ সেরে অনেক রাতে ফিরি। পাড়ার মধ্যে কারও এত স্পর্ধা হতে পারে, কখনও ভাবিনি!’’ এই হামলার প্রতিবাদে বাঘা যতীন আই বি ব্লকে প্রতিবাদসভায় এ দিন বিভিন্ন গণ সংগঠনের তরফে অনেকে হাজির হন। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মেয়েরাও যে ক্রমশ খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন, এ বারের হামলাতেও তা ফের প্রমাণিত বলে মনে করছেন ওঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy