রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের দেহ। ঘটনায় দু’জন পরিচিতের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃতের পরিবার। তার পরে এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও অধরা অভিযুক্তেরা। পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হলেও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। সোমবার পর্যন্ত রণজিতের দেহের ময়না-তদন্তের রিপোর্টও আসেনি পুলিশের হাতে।
২২ জুন রাতে লেক গার্ডেন্স স্টেশনের কাছে মেলে অটোচালক রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। তিনি আগে ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল খেলতেন। পুলিশ জানতে পারে, রাত ১০টা ৫ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহমুখী ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর পরেই মৃতের স্ত্রী শেখ ফিরোজ এবং আশু ভট্টাচার্য নামে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বালিগঞ্জ জিআরপি থানায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছরখানেক আগে ফিরোজ যাদবপুর-টালিগঞ্জ রুটের অটো চালানোর পারমিটের জন্য আশুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আশু এই কাজের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। এর মধ্যস্থতা করেছিলেন রণজিৎ। পুলিশের কাছে মৃতের পরিবারের দাবি, ফিরোজের থেকে টাকা নিয়ে আশুকে দিয়েছিলেন রণজিৎ। কিন্তু অটোর পারমিট পাননি ফিরোজ।
তদন্তকারীদের দাবি, টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন ফিরোজ। রণজিৎ জানিয়েছিলেন, ওই টাকা রয়েছে আশুর কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রণজিৎ বেরিয়ে যাওয়ার পরে ফিরোজ তাঁর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। ফোনে ঘটনাটি জানতে পারেন রণজিৎ। এর পর থেকেই আর ফোন ধরেননি রণজিৎ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ এবং বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন রণজিৎ। তবে অভিযুক্ত দু’জনের সঙ্গে কথা বলার পরেই পুরো ঘটনাটি পরিষ্কার হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy