কলকাতা পুরসভার প্রবেশ পথ আগলে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র
বছরখানেক আগে পুরসভার সামনে কংগ্রেসের এক বিক্ষোভের জেরে নিজের গাড়ি নিয়ে পুরভবনে ঢুকতে পারেননি মেয়র। পুরভবনে ঢোকার আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। বাইরে গাড়ি রেখে হেঁটে ঢুকতে হয়েছিল মেয়রকে। তার জন্য পুলিশকে ধমকও খেতে হয়েছিল। মঙ্গলবার ডেঙ্গি নিয়ে কংগ্রেসের এক বিক্ষোভ সামাল দিতে তাই এ বার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ। প্রহরা এতটাই আঁটোসাঁটো ছিল যে মূল প্রবেশপথ দিয়ে কার্যত কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই তালিকায় ছিলেন মেয়র পারিষদেরাও।
শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুরসভা ‘ব্যর্থ’— এই দাবিতে মঙ্গলবার পুরসভার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল কংগ্রেসের। তার মোকাবিলায় এ দিন বেলা দুটোর পরেই পুরভবনের মূল প্রবেশপথের সামনে গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে ফেলে পুলিশ। ছিল সশস্ত্র পুলিশ প্রহরাও। এত আঁটোসাটো পাহারা অনেক দিন দেখেননি বলে জানান পুরসভার কাউন্সিলর, অফিসার-কর্মীরাই। মূল ফটক দিয়ে কার্যত কাউকেই গাড়ি নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকী দেবাশিস কুমার, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ তিন মেয়র পারিষদকেও ঘেরাটোপের বাইরে গাড়ি রেখে হেঁটে পুরভবনে ঢুকতে হয়েছে। মেয়র শোভনবাবু অবশ্য আগেই চলে এসেছিলেন। তাই আগেরবারের পরিস্থিতিতে আর পড়তে হয়নি তাঁকে।
এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি আগেই স্থির ছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও হাজির থাকবেন, এমন কথাও বলা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। তবে তিনি ছিলেন না। কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়, সন্তোয পাঠক এবং তারিক আনোয়ার-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েক জন নেতাও হাজির ছিলেন বাইরের সমাবেশ স্থলে। পরে ওই কাউন্সিলরেরা মেয়রের কাছে ডেপুটেশন দিতে যান।
মেয়র তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেও বিক্ষোভের দাবি মানতে চাননি। শোভনবাবু বলেন, ‘‘কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি পুরসভার নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। শহর জুড়ে কাজ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শহরে কোনও মৃত্যুর ঘটনা নেই।’’ যদিও ডেপুটেশন থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মেয়র তথ্য চেপে যাচ্ছেন। শহরে যে ভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy