সিদ্ধান্ত হয়নি ভবিষ্যৎ নিয়ে। ভাঙা উড়ালপুলের তলা দিয়ে চলছে গাড়ি। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
পোস্তার ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না রাজ্য সরকার। তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে বাছাই করা হয়ে গেলেও তাদের শেষ পর্যন্ত কাজের ভার দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় প্রশাসন। সেই কারণে আপাতত ওই কাজে অগ্রগতির তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ।
উড়ালপুলটিকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে, না কি ক্ষতিগ্রস্ত অংশ নতুন করে তৈরি করা যাবে, তা জানতে খড়্গপুর আইআইটি-কে দিয়ে ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, শেষ পর্যন্ত খড়্গপুর আইআইটি রাজ্যকে জানিয়েছিল, ভাঙা বা গড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা সুনির্দিষ্ট কোনও সমাধানসূত্র দেননি। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্য কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে ফের সমীক্ষা করাতে চেয়েছিল রাজ্য।
সেই লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তাতে শর্ত ছিল, ভাঙা বা গড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচিত বিশেষজ্ঞ সংস্থাকেই। এমনকি, সেই কাজের দায়িত্ব নিয়ে তত্ত্বাবধানও করতে হবে তাদের। ওই দরপত্র প্রক্রিয়ায় একটি সংস্থাকে বেছে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু এ বার তাদের সরকারি ভাবে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি প্রশাসনিক কর্তারা। সরকারি এক কর্তার কথায়, ‘‘সিদ্ধান্ত নিলে তো কার্যত গোটা বিষয়টির দায়িত্বই নিতে হবে। নির্বাচনী পর্বে প্রকল্পের তেমন কোনও অগ্রগতি হবে না বলেই মনে হয়। পরে কী হবে, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, উড়ালপুলটির যা অবস্থা, তাতে সেটি ভেঙে ফেলা খুব মুশকিল। কারণ, খুব সঙ্কীর্ণ পরিসরে উড়ালপুল ভাঙতে গেলে যে কম্পন হবে, তা আশপাশের বাড়িগুলিতে প্রভাব ফেলবে। বিশেষত, ওই এলাকায় এমন অনেক পুরনো এবং জরাজীর্ণ বাড়ি রয়েছে, যেগুলি ন্যূনতম কম্পনও সহ্য করতে পারবে না। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। ফলে সেই সম্ভাবনা আগে থেকেই মাথায় রাখতে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, নতুন করে নির্মাণকাজ হলেও তা অত্যন্ত সাবধানে করতে হবে। আনতে হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি, যাতে উড়ালপুল ভাঙার সময়ে কোনও অঘটন না ঘটে। সর্বোপরি, নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং স্থায়িত্ব নিয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
এই সমস্ত কারণেই পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না রাজ্য। বিশেষ করে, ভবিষ্যতে সরকারের ভাবমূর্তি যাতে কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য আরও সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy