বেহাল রাস্তা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
কোথাও গর্ত। সেখানে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। কোথাও রাস্তা কাটার পরে মেরামতি হয়নি। ফলে সেখানে রাস্তা এবড়ো-খেবড়ো হয়ে রয়েছে। বোসপুকুর থেকে শুরু করে রুবির মোড় পর্যন্ত রাসবিহারী কানেক্টরের বেশ কিছু জায়গার এমনই হাল। যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। তাই রাস্তাটির এই অংশ সংস্কার করে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। বর্ষার পরেই এই কাজ শুরু হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছরই বর্ষার পরে এই রাস্তাটির মেরামতির প্রয়োজন হয়। তাই এই বছর বর্ষার পরে প্রথম পর্যায়ের ম্যাস্টিকের কাজ হবে। তার পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে রাস্তার বাকি অংশে কাজ হবে।” পুরকর্তৃপক্ষ জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে বিজন সেতু থেকে বোসপুকুর পর্যন্ত মেরামতির কাজ করা হবে।
কলকাতা পুরসভা প্রাথমিক ভাবে এই রাস্তাটির সমীক্ষা করেছে। এর পরেই রাস্তার বিস্তীর্ণ অংশে ম্যাস্টিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরসভার রাস্তা দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য ছ’কোটি টাকা খরচ হবে। এর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। দরপত্র ডেকে কাজ হবে। পুরসভার রাস্তা দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। কিছু দিন আগে এই রাস্তা মেরামতি করা হয়েছে। তবে, কিছু কাজ এখনও বাকি। রাস্তায় কিছু খোঁড়াখুঁড়ির কাজও হয়েছে। প্রত্যেক বছরই বর্ষার আগে প্যাচওয়ার্ক করা হত।
স্থানীয় বাসিন্দা অরূপ কর বলেন, “এই রাস্তা মাঝেমধ্যে সারানো হলেও কিছু দিনের মধ্যেই আবার পুরনো চেহারা বেরিয়ে পড়ে। গাড়ি চালক ও পথচারীদের অসুবিধায় পড়তে হয়।” কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এই রাস্তাটি কেএমডিএ-র। তাই পুরসভার পক্ষে রাস্তাটি মেরামতি করা
সম্ভব হত না। সম্প্রতি কেএমডিএ কলকাতা পুরসভাকে এই রাস্তা হস্তান্তর করার ফলেই পুরসভা এই রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব নিয়েছে। রাস্তায় ম্যাস্টিক দিলে জলে বা বৃষ্টিতে রাস্তার হাল খারাপ হবে না। বার বার রাস্তা মেরামতিরও প্রয়োজন হবে না। রাস্তার মেরামতি ছাড়াও অঞ্চল পরিষ্কার রাখতে বিস্তীর্ণ অংশে হকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলেও মেয়র পারিষদের দাবি।
অন্য দিকে, কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, রাস্তা খারাপ হলেও প্রায়ই তা মেরামতি করা হত। পুরসভাকে এই রাস্তা নিয়ে নেওয়ার জন্য বার বার বলা সত্ত্বেও তারা তা নেয়নি। বর্তমানে এই রাস্তার দায়িত্ব পুরসভার। রাস্তার মেরামতির কাজ তারাই করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy