E-Paper

২১৫ দিন পার, সুপারিশপত্র পেয়েও কার্যত কর্মহীন চাকরিপ্রার্থীরা

শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার ক্ষেত্রে ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ বা অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ০৭:০৪
An image of protest

বিক্ষোভ: শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত। সোমবার, করুণাময়ীতে।  ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিয়োগ না হলে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ১২৮০ জন সুপারিশপত্র পাওয়া চাকরিপ্রার্থী ভোট বয়কট করবেন। শুধু তাঁরাই নন, তাঁদের আত্মীয়স্বজনদেরও ভোট বয়কট করার জন্য ডাক দেবেন। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সোমবার সল্টলেকের করুণাময়ীতেবিক্ষোভের সময়ে এমনটাই জানালেন কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এক চাকরিপ্রার্থী রুস্তম আলি বলেন, ‘‘সুপারিশপত্র পাওয়া ১২৮০ জন চাকরিপ্রার্থী পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া ছাড়াও ভোটের দিন আমরা বিশেষ কর্মসূচি নেব।”

এ দিন করুণাময়ীতে ওই চাকরিপ্রার্থীরা জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে কেউ কেউ চাকরি নিশ্চিত জেনে যে বেসরকারি স্কুলে বা অন্য কোথাও কাজ করতেন, সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁরা জানতেন না, সুপারিশপত্র পাওয়ার পরেও তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে ভোগান্তি। স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশপত্র পাওয়ার ২১৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু নিয়োগপত্র মেলেনি এখনও। তাঁরা কার্যত বেকারের জীবন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওই চাকরিপ্রার্থীদের।

এমনই এক চাকরিপ্রার্থী তন্ময় রায় জানান, ১৬০০ শূন্য পদের মধ্যে ১২৮০ জন সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন। তন্ময়ের প্রশ্ন, “সুপারিশপত্র পাওয়ার ছ’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগপত্র পাওয়ার কথা। এমনকি, আমাদের সুপারিশপত্রে লেখা রয়েছে, কোন স্কুলে আমাদের নিয়োগ হতে চলেছে। তার পরেও আমরা নিয়োগপত্র পাচ্ছি না কেন?”

শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার ক্ষেত্রে ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ বা অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। ওই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। তার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, হাই কোর্ট নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কারণ স্কুল সর্ভিস কমিশন আদালতে ভুল হলফনামা জমা দিয়েছিল। তাঁদের আরও দাবি, যে অতিরিক্ত শূন্য পদে সুপারিশপত্র দিয়েছে কমিশন, তার মধ্যে কোনও অযোগ্য প্রার্থী নেই। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তার দাবি, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার নিয়োগ নিয়ে যে হলফনামা আদালতে পেশ করা হয়েছিল, তা আইন মেনেই হয়েছিল। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। আদালত যেমন নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ীই তাঁরা চলবেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।

এ দিন করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কয়েক জনকে পুলিশ আটক করে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের কয়েক জন প্রতিনিধি দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি দেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Unemployment recommendation Protest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy