ফাইল চিত্র।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিচয়পত্রের কথা বলেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সব পক্ষকে নিয়ে ডাকা বৈঠকে বহিরাগত বা পরিচয়পত্র প্রসঙ্গে কোনও আলোচনাই হল না। শুধু মদ-গাঁজা সেবন রুখতে গড়া হল একটি কমিটি। তাতে থাকবেন ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী-সহ সব পক্ষের প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসে মদ-গাঁজা সেবন চলছে কি না, স্কোয়াড তৈরি করে ওই কমিটি তার উপরে নজরদারি চালাবে। ওই সব নেশা করতে দেখলে ধরবেও।
শুক্রবার পৈলানের প্রশাসনিক বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্যাম্পাসে বহিরাগতের প্রবেশ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ক্যাম্পাসে যাঁরা ঢুকবেন, তাঁদের পরিচয়পত্র থাকা উচিত। বৈঠকে উপস্থিত যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে মঙ্গলবারের ডাকা বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এ দিন বৈঠক হলেও সেখানে পরিচয়পত্র নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। শিক্ষাবন্ধু সমিতির পক্ষে বিনয় সিংহের বক্তব্য ছিল, দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে যদি ক্যাম্পাসে নেশা এবং অসামাজিক কাজকর্ম চলে, তা আটকানো উচিত। এই প্রসঙ্গে ‘নীতি পুলিশগিরি’ কথাটি ব্যবহার করে বিরোধিতার মুখে পড়েন বিনয়বাবু। শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে মাদক সেবন আটকাতে সব পক্ষকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির কাজের এক্তিয়ার সম্পর্কে সবিস্তার আলোচনার জন্য বৈঠক হবে চলতি সপ্তাহেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy