Advertisement
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
TMC Brigade

শহরে ঢুকল বাতিল গাড়ি, ফুটপাতে হল রান্না, বিষ ধোঁয়ায় ঢেকে গেল শহর

এ দিন কলকাতায় লাখো লাখো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। একই সঙ্গে শহরে ঢুকেছে কয়েক হাজার গাড়িও। তার মধ্যে আবার বেশির ভাগই ১৫ বছরের পুরনো। এমনটাই পরিবেষপ্রেমীদের অভিযোগ। এ ছাড়াও ফুটপাতে খিচুড়ি, ডিম-মাংস-ভাত ফুটিয়ে দেদার খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। সে কারণেই দূষণ বেড়েছে বলে মত পরিবেশপ্রেমীদের।

‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল শহরের বায়ু দূষণের সূচক।ছবি: পিটিআই।

‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল শহরের বায়ু দূষণের সূচক।ছবি: পিটিআই।

সোমনাথ মণ্ডল
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৫৭
Share: Save:

ব্রিগেড সমাবেশের দিন দূষণ চাদরে ঢেকে গেল কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই ছিল একই হাল। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, শনিবার ‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল শহরের বায়ু দূষণের সূচক।

ফলে যাঁরা এ দিন ময়দানে বসে ব্রিগেড সমাবেশের ভাষণ শুনেছেন, তাঁদের শরীরে ঢুকে গিয়েছে বিষ ধোঁয়া!

এ দিন কলকাতায় লাখো লাখো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। একই সঙ্গে শহরে ঢুকেছে কয়েক হাজার গাড়িও। তার মধ্যে আবার বেশির ভাগই ১৫ বছরের পুরনো। এমনটাই পরিবেষপ্রেমীদের অভিযোগ। এ ছাড়াও ফুটপাতে খিচুড়ি, ডিম-মাংস-ভাত ফুটিয়ে দেদার খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। সে কারণেই দূষণ বেড়েছে বলে মত পরিবেশপ্রেমীদের।

রাস্তাতেই খাওয়া-দাওয়া। নিজস্ব চিত্র।

এ দিন ভিক্টোরিয়ায় দূষণ সূচক যন্ত্রে সূক্ষ্ম ভাসমান ধূলিকণা পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫ ছিল ‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ পর্যায়ে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাতাসে প্রতি ঘন মিটারে পিএম ২.৫ ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭৫। কখনও কখনও তা ৪০০ ছাড়িয়ে ৫০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যায়।

আরও পড়ুন: ব্রিগেডে পরিশুদ্ধ জল পৌঁছতে রাস্তায় দেখা গেল ভ্রাম্যমান এটিএম

অন্য দিকে উত্তর কলকাতায় বায়ু দূষণের হাল আরও খারাপ ছিল। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূষণ সূচক যন্ত্রে এ দিন সকাল ৬টায় বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫ -এর পরিমাণ ছিল ৪০৬। সন্ধ্যা ৬টার সময়ে সেই সূচক ছিল ৪২৪।

কিছু দিন আগে ‘বার্লে আর্থ’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, একটি সিগারেট খেলে যতটা ক্ষতি হয়, ততটাই ক্ষতি হয় স্বাভাবিক বাতাসের প্রতি এম৩ ইউনিটে ২২ মাইক্রোগ্রাম ওজনের পিএম ২.৫ ধূলিকণা থাকলে। অর্থাৎ সারা দিনে পিএম ২.৫ ধূলিকণার পরিমাণ বাতাসের প্রতি ঘন মিটারে ৪০০ থাকা মানে, আপনি দিনে ১৮ থেকে ২০টি সিগারেট খেয়েছেন।

আরও পড়ুন: শনিবারের ব্রিগেড, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে, কী বললেন?

কেন আতঙ্কিত পরিবেশপ্রেমীরা?

বাতাসে থাকা সেই ধূলিকণাগুলিকেই পিএম ২.৫ বলা হয়, যেগুলির ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার। এত ছোট বলেই এই কণাগুলি বাতাসের সঙ্গে খুব সহজে আমাদের শরীরের কোষগুলিতে ঢুকে যেতে পারে। তার প্রভাবে আমরা শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারি। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। শিশু এবং প্রবীণরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চর্ম রোগ এবং ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। বাতাসে পিএম ২.৫ –এর পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ থাকলে ভাল বলা হয়। এই পরিমাণ ১০০ হয়ে গেলেও সহনযোগ্য। কিন্তু ২০০ পেরিয়ে গেলেই তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে শুরু করে।

(শহরের প্রতি মুহূর্তের হেডলাইন, কলকাতার যে কোনও ব্রেকিং নিউজ পেতে ক্লিক করুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Brigade TMC Rally Kolkata Rally Kolkata Brigade
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy