গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
তৃণমূল চেয়ারপার্সন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই কলকাতায় হাজির হলেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে এক ঝাঁক নেতা।
পূর্ব ঘোষণা মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’-র মঞ্চে যোগ দিতে এ দিন বিকেলেই পৌঁছে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে মুলায়ম পুত্র অখিলেশ যাদব।
দেবগৌড়া এ দিন বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়ে বলেন,“মোদীকে অপসারণের লক্ষ্যে গোটা দেশের সমস্ত অবিজেপি দল ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। গোটা দেশের বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে কঠিন পরিশ্রম করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করার পাশাপাশি বলেন, ২০১৯-র নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলিই জবাব দেবে মোদি সরকারকে।
একই ভাবে বিমান বন্দরে নেমেই ‘দিদি’-র প্রশংসা শোনা গেল সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের গলায়। তিনি বলেন, ‘দিদিকে অভিনন্দন দেশের সমস্ত বিরোধীদের এক মঞ্চে ডাকার জন্য। শনিবার সারা দেশে এই বিরোধিতার বার্তা যাবে। গোটা দেশ চায় পরিবর্তন। চায় নতুন সরকার। দিদির মঞ্চ থেকে সেই বদলের বার্তা পৌঁছে যাবে গোটা দেশে।” এ দিন বিকেলেই ব্রিগেডের সমাবেশে ঝাড়খণ্ড থেকে এসে পৌঁছন সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘গুরুজি’ শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,“আমি আশা করি দিদির ডাকে সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বই যোগ দেবেন শনিবারের সভায়।”
আরও পড়ুন: ব্রিগেড সমাবেশকে সমর্থন জানিয়ে ‘মমতাদি’কে চিঠি লিখলেন রাহুল
এঁদের সঙ্গে কলকাতায় পৌঁছেছেন উত্তর পূর্ব ভারতেরও এক ঝাঁক নেতা। সদ্য বিজেপি ছেড়েছেন অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং। ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গ ত্যাগ করেই তিনি শুক্রবার কলকাতায় নামেন মমতার ব্রিগেডে যোগ দিতে। তিনি মমতাকে মহান নেত্রী হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘মোদীকে উৎখাত করতে আমরা সবাই সমর্থন জানাতে এসেছি মমতাকে।” একই ভাবে মমতার সমর্থনে এ দিন ব্রিগেডে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন মিজোরামের বিরোধী দলনেতা জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টির লালদুহাওয়ামা। গেগং আপাং থেকে শুরু করে লালদুহাওয়ামা স্পষ্টই জানিয়ে দেন মোদী সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তাঁদের বাধ্য করেছে মোদী বিরোধিতায় নামতে। লালদুহাওয়ামা দাবি করেন,“কয়েকদিনের মধ্যেই উত্তর পূর্ব ভারতের অধিকাংশ আঞ্চলিক দলই মোদী বিরোধিতায় শামিল হবে ওই বিল বাতিল করতে।”
ব্রিগেডের ঐতিহাসিক তাত্পর্য নিয়ে প্রশ্নোত্তর: খেলুন কুইজ
উত্তর পূর্ব ভারতের এই নেতারা কলকাতার মাটি ছোঁয়ার আগেই এ দিন দুপুরে কলকাতায় পৌঁছন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্ত। ক’দিন আগেই তাঁর দল অসম গণ পরিষদ যাঁরা অসমে বিজেপির জোট সঙ্গী ছিল, সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন বিজেপি সরকার থেকে। এখানেও কারণ সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিরোধী নেতাদের তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও, বিমানবন্দর থেকে বেরোনর পথে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি ব্রিগেডে যোগ দেবেন না এমন কথা বলেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত নেব।’’
আরও পড়ুন: ২ দিন পিছিয়ে সভা হচ্ছেই, রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ
তৃণমূল সূত্রে খবর, বাকি হেভিওয়েট বিরোধী নেতাদের মধ্যে চন্দ্রবাবু নায়ডু, কুমার স্বামী থেকে শুরু করে ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা রাতেই শহরে পৌঁছবেন।
এ দিন বিকেলেই ব্রিগেডের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিজে ঘুরে এক বার দেখে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই সোজা চলে যান দক্ষিণ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে দেবেগৌড়া এবং গেগং আপাংয়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে এক দফা বৈঠক করেন মমতা। এই সৌজন্য সাক্ষাতের পর তিনি যান অখিলেশের সঙ্গে দেখা করতে।
(কলকাতার রাজনীতি, কলকাতার আড্ডা, কলকাতার ময়দান, কলকাতার ফুটপাথ -কলকাতার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy