ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য বাস ধরেছিল পুলিশ। সেই কারণে বাস থেকে নেমে ট্রাফিক কনস্টেবলকে চড় কষিয়ে দিলেন এক আরোহী। ওই আরোহীর বক্তব্য, এমনিতেই বাড়ি থেকে বেরোতে দেরি হয়ে গিয়েছে। তার উপরে বাসের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গেলে অফিস পৌঁছতে আরও দেরি হয়ে যাবে। তাই তিনি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। পুলিশ অবশ্য সে কথায় কর্ণপাত না করে তাঁকে ধরে থানায় পুরে দিয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের, আলিপুর জাজেস কোর্ট রোডে। ধৃত রাজীব সেনের বাড়ি পর্ণশ্রীতে, অফিস পার্ক স্ট্রিটে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে আব্দুল তালিম মোল্লা নামে ওই কনস্টেবল জাজেস কোর্ট রোড ও নিউ রোডের সংযোগস্থলে ডিউটি করছিলেন। সাড়ে দশটা নাগাদ একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে গেলে আব্দুল সেটিকে আটকান। চালক বাস থামালে রাজীববাবু নেমে কনস্টেবলের উপরে হম্বিতম্বি শুরু করেন। পরে দু’জনের বাদানুবাদ চলতে থাকে। ওই আরোহী আব্দুলকে চড়-থাপ্পড় মেরে মাটিতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। সেই দেখে কর্তব্যরত অন্য পুলিশকর্মীরা ছুটে এসে রাজীববাবুকে আটক করে আলিপুর থানার হাতে তুলে দেন। পুলিশ জানায়, আজ, শুক্রবার রাজীববাবুকে আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, দেরি হয়ে যাওয়ায় এ দিন কিছু না খেয়েই অফিসে বেরিয়েছিলেন রাজীব। আব্দুলের গায়ে হাত দেওয়ার পিছনে তাঁর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না বলেই পরিবারের দাবি।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে সেই প্রশ্ন আরও এক বার মাথাচাড়া দিয়েছে, তবে কি পুলিশের উর্দির প্রতি ভীতি কমছে সাধারণ মানুষের? পুলিশও কি সমীহ আদায়ে ব্যর্থ? কলকাতায় বিধানসভার ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার কয়েক দিনের ব্যবধানে বালিগঞ্জ ও পাটুলিতে আক্রান্ত হয়েছেন আইনের রক্ষকেরা। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া হতে পারেনি বলে অভিযোগ। বালিগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও সহজেই জামিন পেয়ে যান তাঁরা। আর পাটুলিতে থানার ওসিকে নিগ্রহ করার তিন দিন পার হয়ে গেলেও অভিযুক্তদের ধরা তো দূরের কথা তাদের শনাক্তই করতে পারেননি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy