Advertisement
০৪ মে ২০২৪

পুজোর শহর চলেছে সেই শম্বুক গতিতেই

ইডেনে টেস্ট দেখতে যাবেন বলে সকালে যাদবপুর থেকে হাওড়ামুখী এসি বাস ধরেছিলেন তরুণ দাস। রাসবিহারী মোড় পার হতেই যানজটের কবলে পড়ে গতির দফারফা। শেষমেশ ডালহৌসির বদলে ধর্মতলা হয়ে ইডেনের সামনে যখন পৌঁছলেন, তখন লাঞ্চের আগের খেলা প্রায় শেষ।

থমকে পথ। সোমবার, ধর্মতলায়। — নিজস্ব চিত্র

থমকে পথ। সোমবার, ধর্মতলায়। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৫৭
Share: Save:

ইডেনে টেস্ট দেখতে যাবেন বলে সকালে যাদবপুর থেকে হাওড়ামুখী এসি বাস ধরেছিলেন তরুণ দাস। রাসবিহারী মোড় পার হতেই যানজটের কবলে পড়ে গতির দফারফা। শেষমেশ ডালহৌসির বদলে ধর্মতলা হয়ে ইডেনের সামনে যখন পৌঁছলেন, তখন লাঞ্চের আগের খেলা প্রায় শেষ।

সল্টলেক থেকে পরমা উড়ালপুল ধরে হাওড়া যাবেন বলে ১১টা নাগাদ বেরিয়েছিলেন শান্তনু কোলে। দীর্ঘক্ষণ উড়ালপুলে আটকে থেকে হাওড়ায় মেয়ের বাড়ি যখন পৌঁছলেন, তখন সাড়ে বারোটা।

পুলিশের দাবি, সপ্তাহের প্রথম দিনই এমন যানজটের কারণ কোনও মিটিং-মিছিল নয়। এ দিন সকালে ছিল ভিভিআইপি-র অনুষ্ঠান। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পুজোর কেনাকাটা এবং পরমা উড়ালপুলে গাড়ি খারাপ হওয়া। এই তিনের জেরেই এত ভোগান্তি।

লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিন পরমা উড়ালপুলে পরপর দু’বার গাড়ি খারাপ হওয়ার ঘটনায় অবস্থা এমনই দাঁড়ায়, পুলিশ এক সময়ে বাইপাস থেকে ওই উড়ালপুলে ওঠার দু’টি রাস্তাই বন্ধ করে দেয়। ওই উড়ালপুলে গাড়ি খারাপ হওয়া ছাড়াও হসপিটাল রোড এবং ডিএল খান রোডের মোড়ে ট্রাফিকের ভীষণ চাপ থাকায় প্রতিদিনের মতোই এ জে সি বসু রোড উড়ালপুলের পশ্চিম দিকে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণ বিঘ্নিত হয়। এক সময়ে ওই উড়ালপুলের গাড়ির লাইন পৌঁছে যায় মিন্টো পার্ক পর্যন্ত।

লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন শহরে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। এশিয়াটিক সোসাইটিতে ১১টা নাগাদ ছিল তাঁর অনুষ্ঠান। তার জন্য উপরাষ্ট্রপতির কনভয় প্রথমে রাজভবন থেকে পার্ক স্ট্রিটে যায়। পরে ওই অনুষ্ঠান শেষ করে রাজভবন হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছয় তাঁর কনভয়। পুলিশের দাবি, ভিভিআইপি-র কনভয় যে সব রাস্তা দিয়ে গিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে সেই সব রাস্তায় যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে সকাল থেকে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এ জে সি বসু রোড, পার্ক স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোড-সহ মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দুপুর একটার পরে ভিভিআইপি শহর ছেড়ে গেলেও যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেনি পুলিশ।

দুপুরের পরে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু বিকেল হতেই যানজট পাকাতে শুরু করে বাজার এলাকাগুলিতে। পুলিশের একাংশের দাবি, ওই যানজটের জন্য দায়ী পুজোর ভিড় এবং মণ্ডপের জন্য সরু হওয়া রাস্তা। পুজো এগিয়ে আসায় কাজের দিনের দুপুরেও হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, মহাত্মা গাঁধী রোডে ছিল ভিড়। পুজোয় ভিড় সামলানোর জন্য বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড বসেছে বা বসানোর কাজ চলছে। ফলে গাড়ি বাড়লেও রাস্তার বহর কমেছে। আর তাতেই চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এসএন ব্যানার্জি রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বিধান সরণি-সহ উত্তর এবং মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় এ দিন দেখা গিয়েছে গাড়ির লম্বা লাইন। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাফিককর্মীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

traaffic puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE