রিসর্টের প্রবেশপথ। মঙ্গলবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
ছ’ঘণ্টা টানা লড়াই চালিয়ে বেদিক ভিলেজের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হল দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আসে বলে জানিয়েছে তারা। এর জেরে ওই রিসর্টের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজারহাট থানা এলাকার আওতায় থাকা ওই রিসর্টে সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই সময়ে বাজ পড়েছিল। তবে তার জেরে না কি শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে, সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। ফরেন্সিক পরীক্ষা ছাড়াও বিভাগীয় যা যা পদক্ষেপ করার, তা করা হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই রিসর্ট। তার মধ্যে রান্নাঘর, রিসেপশন, কর্মীদের থাকার জায়গা-সহ কয়েকটি কটেজে আগুন লাগে। প্রাথমিক ভাবে রিসর্টের কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে হাত লাগায়। দমকল সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই ফের আগুন ধরে যায়। সেটাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বহু দূর পর্যন্ত উঠে যায় আগুনের শিখা। পর্যায়ক্রমে দমকলের আরও ৯টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। অতিথিদের থাকার জায়গাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রাতে বেদিক ভিলেজে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, রিসর্টে অতিথিদের থাকার জায়গা বা আবাসিক এলাকায় আগুন ছড়াতে পারেনি। দমকলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঝড় হওয়ার জন্য আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। রিসর্টের কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন ঘরে থাকা
সামগ্রী সরিয়ে বার করে আনেন। যার জন্য ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে।
রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আফতাবউদ্দিন জানান, প্রথম পর্যায়ে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু ফের একটি কটেজ থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, এর আগেও ওই রিসর্টে এক বার আগুন লেগেছিল।
তবে দমকলমন্ত্রী যাওয়ার আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি দমকলমন্ত্রীর সামনে কিছু লোক চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। যদিও তাকে বিক্ষোভ বলতে চাননি মন্ত্রী।
অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে রিসর্ট কর্তৃপক্ষের এক শীর্ষ কর্তাকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস করা হলেও উত্তর আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy