Advertisement
E-Paper

দুর্ঘটনার মিছিল চলছেই, তবু কই তেমন সচেতনতা

রবিবার ফের তেমনই ঘটেছে এ শহরে। ঘটনাস্থল সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সামনে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ। গাড়ির পিছনের সিটে বেলুনে গ্যাস ভরার জন্য সিলিন্ডার কাত করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘাট বকুলতলার বাসিন্দা ভোপাল হালদার। দ্রুত বেগে চলা গাড়ি ব্রেক কষতেই তীব্র আওয়াজ করে ফেটে যায় সেটি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩১
Share
Save

২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর। পুরুলিয়ার মানবাজারে একটি মেলায় গ্যাস সিলিন্ডারের মাথায় নলের মুখে বেলুন লাগিয়ে হাতল ঘুরিয়ে বেলুন ফোলাচ্ছিলেন মাঝবয়সি বেলুনওয়ালা। তাঁকে ঘিরে ছিল বেশ কয়েক জন শিশু। হঠাৎ বিকট শব্দ করে সেই সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল বেলুন বিক্রেতা আখতার আনসারির। ঘটনায় আহত হয়েছিল ১১ জন শিশু।

রবিবার ফের তেমনই ঘটেছে এ শহরে। ঘটনাস্থল সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সামনে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ। গাড়ির পিছনের সিটে বেলুনে গ্যাস ভরার জন্য সিলিন্ডার কাত করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘাট বকুলতলার বাসিন্দা ভোপাল হালদার। দ্রুত বেগে চলা গাড়ি ব্রেক কষতেই তীব্র আওয়াজ করে ফেটে যায় সেটি। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান বেলুন বিক্রেতা ভোপাল। গাড়ির চালক সঞ্জয় সাহা বাইপাসের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উপরের দু’টি ঘটনা উদাহরণ মাত্র। কলকাতা তথা সারা রাজ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে বেলুন ফোলানো রমরমিয়ে চলছে। সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকলেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। পুলিশ সূত্রের খবর, শহর, শহরতলি তথা রাজ্যের বিভিন্ন মেলা, উৎসব উপলক্ষে এমন সিলিন্ডারের ব্যবহার চলছেই সর্বত্র। পুলিশ জানিয়েছে, বেলুন ফোলানোর জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বেআইনি। তা সত্ত্বেও রবিবার খোদ কলকাতায় এক পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে যে ভাবে বেলুন বিক্রেতাকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নাগরিকদের একাংশের প্রশ্ন, পুলিশের সামনেই প্রথমে ধর্মতলায় বেলুন ফোলানো হচ্ছিল। পরে মহম্মদ আলি পার্কে বেলুন ফোলানোর কর্মসূচি ছিল। এই ধরনের অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার দেখলেও পুলিশ কেন তা বাজেয়াপ্ত করেনি, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি (এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ) দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘আমরা আগে এই ধরনের অবৈধ বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করেছি। রবিবারের ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ তবে যতই পুলিশ ক়ড়া হোক না কেন, সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থামানো যাবে না বলে মত দেবাশিসবাবুর।

এ দিকে, এই ঘটনায় বৌবাজার থানার পুলিশ গাড়ির চালক সঞ্জয় সাহা ও মৃত ভোপাল হালদারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পরিবার সূত্রে খবর, ভোপাল বছর পাঁচেক ধরে আনন্দপুর থানার পশ্চিম চৌবাগায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তাঁর স্ত্রী রূপা হালদার সাত বছরের মেয়ে বর্ষাকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গ্রামের বাড়িতে থাকেন। মৃতের দাদা সুপাল হালদারের কথায়, ‘‘কাজের জন্য ভাই কলকাতা যায়। প্রথমে কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল ফেলার গাড়িতে কাজ করত। ইদানীং বেলুনের ব্যবসা করছিল।’’ মৃতের ভাগ্নে প্রদীপ নস্কর বলেন, ‘‘পেটের তাগিদে মামা বেলুন পেশায় এসেছিলেন ঠিকই। তবে যাঁরা গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে বেলুন ফোলানোর পেশায় জড়িত, তাঁরা যেন অবিলম্বে এই ধরনের অবৈধ পেশা থেকে সরে আসেন।’’

Cylinder Blast Gas Balloon Death Accident গ্যাস সিলিন্ডার

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।