বিদ্যাসাগর সেতু। ফাইল চিত্র।
ওই সেতু দিয়ে ভিভিআইপি-রা নিয়মিত যাতায়াত করেন। শুধু তা-ই নয়, হাওড়ার দিক থেকে কলকাতা শহরে আসার অন্যতম প্রধান রাস্তাও সেটি। কিন্তু অভিযোগ, ওই সেতু এবং সেটির বিভিন্ন র্যাম্পের বেহাল দশার কারণে গাড়ির গতি প্রতিনিয়তই বাধাপ্রাপ্ত হয়। আবার খানাখন্দের জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে স্কুটার, মোটরবাইক থেকে ছোট গাড়ি। সমস্যার সমাধানে এ বার তাই বিদ্যাসাগর সেতু এবং সংলগ্ন র্যাম্পগুলির আমূল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি এজেন্সিকে নিয়ে পরিদর্শন করার পরেই ঠিক হবে, পুলিশের তরফে কবে মেরামতির বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে পুলিশের আশঙ্কা, সংস্কারের কাজ শুরু হলে বিদ্যাসাগর সেতুতে তীব্র যানজট তৈরি হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেতুর মূল অংশের হাওড়ামুখী রাস্তার অবস্থা পুরো বেহাল। সেই অংশের মেরামতি করতে চেয়ে গত সপ্তাহেই হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। শুক্রবার রাত থেকে তিন দিন কাজ করার অনুমতি মিললেও বৃষ্টির জন্য তা হয়নি। এক পুলিশকর্তা জানান, এর পাশাপাশি গোটা সেতুর প্রতিটি রাস্তাই মেরামত করে ফেলতে চায় প্রশাসন। সেই মর্মেই আবেদন করা হয়েছে। পরিদর্শনের পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, বেহাল রাস্তার কারণে ওই সেতুতে গাড়ির গতি যেমন বাধা পাচ্ছে, তেমনই মোটরবাইক কিংবা ছোট গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ছে মাঝেমধ্যেই। আবার টালা সেতু তৈরি না হওয়ায় বিদ্যাসাগর সেতু দিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি শহরে প্রবেশ করে এবং শহর থেকে বাইরে যায়। রাস্তার কাজ শুরু হলে গাড়ির গতি বাধা পাবে। ফলে যানজট তৈরি হবে। তাই টালা সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতুর আমূল সংস্কারের কাজ সম্ভবত শুরু করা হবে না।
সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর সেতুর যে সমস্ত অংশের অবস্থা বেশি খারাপ, সেখানে পিচের আস্তরণ তুলে ফেলে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হবে। বাকি অংশেও প্রয়োজন মতো মেরামতি হবে। লালবাজার জানিয়েছে, সেতুর উপরে গাড়ির গতি মাপার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানো হয়েছে। তা দিয়েই নজরদারি চালিয়ে বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy