‘পুলিশ ঘুষ নেয়’ সাধারণ মানুষের এই চিরাচরিত ধারণাকেই কার্যক্ষেত্রে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে চোর ধরল পুলিশ।
অপহরণের গল্প ফেঁদে সংস্থার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন এক কর্মী। এক লক্ষ টাকা ভাগ দিলে সংস্থার দায়ের করা অভিযোগের কেস মিটিয়ে দেওয়ার ‘টোপ’ দেন খোদ পুলিশ অফিসার। বেমালুম বিশ্বাস করেন ওই কর্মী। আর তাতেই হল বিপদ! টাকার ভাগ দিতে গেলে হাতেনাতে ধরে ফেলা হল তাঁকে। মঙ্গলবার এমনই কাণ্ড ঘটেছে হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ায়। ধৃত ওই কর্মীর নাম যদুবংশ বর্মা। তিনি ঘুসুড়ির ধর্মতলা রোডের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতার একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার হিসাবরক্ষক পদে কাজ করেন যদুবংশ। সোমবার অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সংস্থার একটি চেক নিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা তুলতে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। তার পর থেকেই বেপাত্তা। তাঁর মোবাইলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেলে অফিস ও বাড়িতে ফোন করে যদুবংশ জানান, কেউ বা কারা মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে ট্যাক্সিতে চাপিয়ে হুগলির কামারকুণ্ডুতে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে টাকা। তাঁর চলাফেরার ক্ষমতা নেই। পুলিশের সঙ্গে পরিবার ও সংস্থার লোকেরা গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার করার পরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে যদুবংশের কথায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। এর পরেই মঙ্গলবার যদুবংশকে জানানো হয়, সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেছে। এক লক্ষ টাকা দিলে তা সামলে দেবে পুলিশ।
ফাঁদে পা দিয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই ধর্মতলা রোডে তাঁর স্ত্রীর দোকানে যান যদুবংশ। দোকান থেকে এক লক্ষ টাকা বার করে দিতেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।
উদ্ধার হয় পুরো টাকা।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (উত্তর) রশিদমুনির খান বলেন, “আমাদের সন্দেহ হয়েছিল টাকা চুরি করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন ওই ব্যক্তি। সেই কারণেই ওই ব্যক্তি সব মিথ্যা বলছেন। তাই এমন ফাঁদ পাততে হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy