নিউ মার্কেট লাগোয়া অটো পার্কোম্যাটের দুর্ঘটনায় বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল কি না, তা দেখবে পুর-প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই পার্কোম্যাটের বিকল হওয়া লিফ্ট সারাতে গিয়ে এক মিস্ত্রির পা আটকে যায় লিফ্ট এবং দেওয়ালের মাঝে। এই দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পা কার্যত চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনার পরে সেখানকার যান্ত্রিক কাঠামো এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ বেড়েছে পুর-প্রশাসনের। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, চুক্তির ভিত্তিতে বাজার-সহ পার্কোম্যাটটি চালায় এক বেসরকারি সংস্থা। পুর-প্রশাসন তাদের জানিয়ে দিয়েছে, বৈদ্যুতিক এবং যান্ত্রিক পরিকাঠামো ঠিক আছে কি না দেখবে পুরসভা। তত দিন বাজার খোলা যাবে না। সংস্থাটি যাতে ওই নির্দেশ ভেঙে কোনও কাজ করতে না পারে, তার জন্য নিউ মার্কেট থানাতেও চিঠির একটি কপি জমা দেওয়া আছে।
নিউ মার্কেট চত্বরে বেসমেন্টের যে জায়গায় বাজার-সহ পার্কোম্যাটটি রয়েছে, তার মালিক কলকাতা পুরসভা। সেখানে প্রায় দেড়শোর উপরে গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে। ওই পার্কোম্যাট-সহ রডন স্ট্রিটের পার্কোম্যাটটিও চালায় ওই বেসরকারি সংস্থা। পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ শুক্রবার বলেন, “যেখানে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে সব কিছু খতিয়ে দেখা দরকার। একটি দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাই পুরসভার অধীনে থাকা দু’টি পার্কোম্যাটের পরিকাঠামো দেখে নেওয়া দরকার।” তিনি জানান, পুরসভার ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল বিশেষজ্ঞেরা তা পরীক্ষা করে দেখবেন। ওই বেসরকারি সংস্থার এক কর্তা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা নিছকই দুর্ঘটনা। যে কোনও জায়গায় হতে পারত।”
পুরসভা সূত্রের আরও খবর, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পার্কোম্যাটের পাশে যে বাজার রয়েছে, সেখানে দোকানগুলি চালাতে পুরসভার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ ওঠে। মেয়র পারিষদ তারকবাবু জানান, তদন্ত করে জানা গিয়েছে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ ঠিক ছিল। এর পরেই ওই সংস্থাকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার কিছু টাকা তারা জমাও দিয়েছে। যদিও সংস্থার পক্ষে শঙ্করবাবু বলেন, “জরিমানা করা হয়েছে, কিন্তু সেই টাকা আমাদের কিস্তিতে দেওয়ার কথা বলেছি। তা এখনও ঠিক হয়নি।”
এ দিকে, পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জখম মিস্ত্রির পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি এখন ভাল আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy