বিজ্ঞাপনের জন্য টেন্ডার করতেই এক লাফে ১০০ শতাংশ আয় বাড়ল কলকাতা পুরসভার। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ১৫ কোটি। চলতি আর্থিক বর্ষে (২০১৪-১৫) পুরসভা তাদের হোর্ডিং ভাড়া দিয়ে ২৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ভাণ্ডারে তুলবে। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে তাদের অধীনে ৪০০টি হোর্ডিং আছে। গত অর্থবর্ষে ওই হোর্ডিং থেকে আয় হয় ১৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। একই সংখ্যক হোর্ডিংয়ে এ বার আয় হবে দ্বিগুণেরও বেশি।
এক বছরেই এমন হওয়ার কারণ কী? পুরসভা সূত্রের খবর, সাত বছর ধরে পুরসভার হোর্ডিং ভাড়া দেওয়া নিয়ে টেন্ডার হয়নি। তখন হোর্ডিং পিছু ভাড়ার জন্য যে দর ঠিক হয়েছিল, প্রতি বছর তা একটু একটু করে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু টেন্ডার ডাকা হয়নি। এ বার টেন্ডার ডাকতেই বেড়ে যায় হোর্ডিংয়ের দর।
কেন টেন্ডার ডাকা হয়নি? এ প্রশ্নের সরাসরি কোনও জবাব অবশ্য দেননি বিজ্ঞাপন দফতরের কর্তারা। যদিও পুরসভার এক পদস্থ কর্তা জানান, বাম আমল থেকেই কয়েকটি এজেন্সির হাতে ওই হোর্ডিংগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকী, কলকাতা পুরবোর্ডের দায়িত্বে আসার পরেও গত তিন বছরে তৃণমূল বোর্ড এ ব্যাপারে কোনও ভূমিকা নেয়নি বলে জানান তিনি। যদিও তৃণমূল শাসিত পুর-প্রশাসনে বিজ্ঞাপন দফতরে একাধিক মেয়র পারিষদ কর্মরত ছিলেন। ওই দফতরের বর্তমান মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বুধবার জানান, বাজার দরের চেয়ে পুরসভার হোর্ডিং থেকে আয় কম হওয়ার বিষয়টি নজরে পড়তেই টেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি জানান, শহর জুড়ে ২০ ফুট বাই ১০ ফুটের ৪০০টি হোর্ডিং রয়েছে। টেন্ডার খুলে দেখা গিয়েছে, হোর্ডিং পিছু দর বেড়েছে বছরে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
পুরসভার বিজ্ঞাপন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ১৫-১৬টি বিজ্ঞাপন সংস্থা টেন্ডারে অংশ নেয়। ৪টি সংস্থা সর্বোচ্চ দর দিয়ে হোর্ডিং ভাড়া নেওয়ার তালিকায় রয়েছে।
দেবাশিসবাবু আরও জানান, এত দিন আর্থিক বছরের শেষে হোর্ডিং ভাড়ার টাকা পুরসভায় দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। এ বার তা-ও বদলানো হয়েছে। প্রতি তিন মাস অন্তর ভাড়ার টাকা পুরসভাকে মিটিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই তা কার্যকর করা হবে বলে জানান দেবাশিসবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy