বর্ষবরণের রাতে মোটরবাইক-বাহিনীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাস্তা আটকে তল্লাশি চালাবে কলকাতা পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, ৩০ তারিখ রাত থেকেই শহরের ৯৭টি অঞ্চলে ওই তল্লাশি চালানো হবে। এর জন্য প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে শহরের রাস্তায় বেপরোয়া মোটরবাইকে তাণ্ডব চোখে পড়ে। এ বার তা আটকাতেই লালবাজারের ওই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিনের আগের রাতেই বেপরোয়া গতিতে চলার শিকার হয়েছিলেন তিন মোটরবাইক আরোহী। ওই রাতে শহরে দু’টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর ফলেই ওই দুই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই দুর্ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। বর্ষবরণের রাতে যাতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়, তার জন্যই আগে থেকে এই ব্যবস্থাপনা।”
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এমনিতেই শহরে রাতে ২১টি জায়গায় নিয়মিত রাস্তা আটকে গাড়ি তল্লাশি চলে। তার উপরে বর্ষবরণের উৎসবে বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য প্রতি বছরেই নজরে পড়ে থাকে। সে কারণেই নিয়মিত রাস্তা আটকে তল্লাশি চালানোর এই ২১টি জায়গা ছাড়াও আরও ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা আটকে তল্লাশি চালানো হবে। রাত ১০টা থেকে শুরু হবে এই তল্লাশি। এতে উৎসবের সময়ে শহর জুড়ে বাইক-বাহিনীর তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে পুলিশের শীর্ষকর্তারা মনে করছেন।
পাশাপাশি লালবাজার সূত্রের খবর, শহরে মহিলাদের উপরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। রাস্তায় চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকছে ৪টি ওয়াচ টাওয়ারও। এর মধ্যে পার্ক স্ট্রিট চত্বরেই দেড় হাজার পুলিশ থাকার কথা। বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে চার জন ডেপুটি কমিশনারও উপস্থিত থাকবেন। আর ওয়াচ টাওয়ারগুলি থাকছে মূলত পার্ক স্ট্রিট, নিউ মার্কেট, মল্লিকবাজার চত্বরে।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ষবরণের রাতে মূলত মধ্য কলকাতাতেই ভিড় বেশি হয়। তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাস্তার পাশাপাশি ক্লাবগুলিতেও পুলিশি নজরদারি রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy