Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪
purulia

Road: পুরুলিয়ার সেই ‘বিচ্ছিন্ন’ গ্রামে প্রশাসনিক কর্তারা, আনন্দবাজার অনলাইনের খবরের জের

গ্রামে ঢোকার বা বেরোনোর জন্য কোনও নির্দিষ্ট রাস্তা নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সেখানকার বাসিন্দারা একটি জমির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতেন।

শ্যামপুর গ্রামে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিনিধিদল।

শ্যামপুর গ্রামে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিনিধিদল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১৬:৪৭
Share: Save:

পুরুলিয়ার সেই ‘বিচ্ছিন্ন দ্বীপে’র মতো গ্রামে রাস্তার সমস্যার কথা জানতে পেরে পরিদর্শনে গেলেন প্রশাসনিক কর্তারা। রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনের এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। সে খবরটি পড়ার পর সোমবার ওই গ্রামে যান ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক-সহ একটি প্রতিনিধিদল। সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকেরা।

পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের গাড়াফুসড়া অঞ্চলের শ্যামপুর গ্রামের কথা রবিবার জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রামে ঢোকার বা বেরোনোর জন্য কোনও নির্দিষ্ট রাস্তা নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সেখানকার বাসিন্দারা একটি জমির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতেন। তবে সম্প্রতি সেই জমির মালিক তাতে খাল কেটে ফেলায় যাতায়াতে সমস্যা পড়েছেন গ্রামবাসীরা। শ্যামপুরের মুমূর্ষু রোগী থেকে নিত্যযাত্রী—সকলেই এতে সমস্যায় পড়েন। এমনকি, শ্যামপুরের ছেলেদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়তেও রাজি নন অন্য গ্রামের বাসিন্দারা। এমনও দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।

শ্যামপুর গ্রামের এ সমস্ত সমস্যার কথাই আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল। সোমবার ওই গ্রাম পরিদর্শন করতে এসে ভূমি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তারক হালদার বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম। আনন্দবাজার অনলাইনে পড়লাম গ্রামের রাস্তার সমস্যার কথা। গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে। তা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করতে এসেছি। যাঁরা রাস্তা কেটেছেন, তাঁদের নথিপত্র-সহ দেখা করতে অনুরোধ করেছি। আমরা খতিয়ে দেখছি। আশা করছি বিষয়টি শীঘ্রই মিটে যাবে।’’ প্রশাসনিক কর্তার পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

purulia road Civic Issues
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE