ছবি: গৌতম প্রামাণিক
ভাঙনে বিপন্ন চারিবাংলা মন্দির
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে নাটোরের মহারানি ভবানী নির্মিত চারিবাংলা মন্দিরের অস্তিত্ব ভাগীরথী ভাঙনের জন্য আজ সংকটের মুখে। ভাগীরথীর পশ্চিমে বড়নগর অবস্থিত। মাত্র ৩২ বৎসরে বিধবা হয়ে ব্রহ্মচর্যকে অবলম্বন করে বড়নগরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। আনুমানিক ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ ব্লকের অধীন বড়নগর দেবনগরীকে দ্বিতীয় বারাণসী গড়ার লক্ষ্যে তিনি উদ্যোগী হন। রানি ভবানীর অন্যতম কীর্তি হল রাজরাজেশ্বরী মন্দির স্থাপন। মন্দিরে রাজরাজেশ্বরীর মূর্তি রানি ভবানী স্বয়ং স্থাপন করেন। মূর্তির বামে জয়দুর্গা ও করুণাময়ী-সহ পিতলের তিনটি মূর্তি চুরি গেছে। পরে স্থানীয় বিশিষ্টজনদের প্রচেষ্টায় রাজরাজেশ্বরীর মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ভাগীরথীর পশ্চিমে ভবানীশ্বর মন্দির স্থাপনও রানি ভবানীর কীর্তি। রাজরাজেশ্বরী মন্দিরের পূর্ব-দক্ষিণে মদনগোপালের কাঠের মূর্তি রয়েছে মদনগোপালের মন্দিরে। এই মন্দিরের পূর্ব-দক্ষিণে চারিবাংলার মন্দির—যা টেরাকোটার বিস্ময়কর ভাস্কর্য। কোথাও দশাবতার, কোথাও দশমহাবিদ্যা, কোথাও রাম-রাবণের যুদ্ধ, কোথাও শুম্ভ-নিশুম্ভের যুদ্ধ। এ ছাড়াও আছে কৃষ্ণলীলা, অসংখ্য শিব ও দেবমূর্তি। চারিবাংলার উত্তরে রাজা বিশ্বনাথের অসম্পূর্ণ কাছারি আজও বর্তমান। এ ছাড়া উত্তরে গঙ্গেশ্বর জোড়া বাংলা মন্দির টেরাকেটোর এক জীবন্ত শিল্পশৈলী—যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মুর্শিদাবাদের পর্যটনের গর্ব চারিবাংলা মন্দির। ভাগীরথীর ভাঙনে যা চরম সংকটাপন্ন। মন্দির সংলগ্ন বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো পাড় আজ ভাগীরথীর গ্রাসে। নদী থেকে মন্দিরের দূরত্ব মাত্র পাঁচ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। চলাচলের রাস্তাও বিপজ্জনক। রাস্তার মাঝে গর্ত, যা বাঁশ দিয়ে ঘেরা, যে কোনও সময়ে ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। বর্ষার সময় অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। ফলে রানি ভাবনীর অক্ষয় কীর্তি পর্যটনের মানচিত্র থেকে যে কোনও সময়ে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অবিলম্বে প্রয়োজন মন্দিরগুলি বাঁচাতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। জলসেচ দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কাছেই ভাগীরথীর ভাঙন থেকে চারিবাংলা মন্দির-সহ অন্য মন্দিরগুলিকে রক্ষা করার দাবি জানাই।
স্বপন ভট্টাচার্য। সাহানারা ঘাট, মুর্শিদাবাদ।
পরিস্কারের শপথ নিন
আমরা নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখতে ভালবাসি অথচ আমাদের নিজেদের শহর পরিষ্কার করার কোনও উদ্যোগ আমরা নিতে চাই না। খেয়ালখুশি মতো রাস্তায় নোংরা ফেলি। বিভিন্ন জায়গাতে সিগারেট, বিড়ির টুকরো, কাগজ, পলিথিন, প্ল্যাস্টিক, চায়ের ভাঁড় ফেলি। সেলুনের কাটাচুল, হোটেলের এঁটোপাতা, মিষ্টির দোকানের প্ল্যাস্টিকের থালা, কাপ যেখানে সেখানে ফেলি। এই শহরের দুই দিকে দুটি নদী গেছে। এই নদীগুলিতে ময়লা ফেলা, ভাঙা বাড়ির ইট, পাথর নিয়মিত ফেলা হয়। নদীগুলিতে এই সব ময়লা ফেলাতে আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হয়। শহরের বিভিন্ন জনবসতি অঞ্চলে যে ময়লা পড়ে থাকে তা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার করা হয় না। ফলে পরিবেশ দূষণ হয়। মানুষকে নিজের থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথা বুঝতে হবে। প্রশাসন থেকে পরিষ্কার করার জন্য যে সব কর্মচারী আছে তার দিকেও প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। এই কাজের জন্য প্রশাসন ও সকল শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন আমরা শপথ নিই বাঁকুড়া শহর পরিষ্কার রাখব—তবেই এই বাঁকুড়া সুন্দর শহর হিসেবে বিবেচিত হবে।
বীরেন সরকার,অরবিন্দ নগর, বাঁকুড়া।
গ্রামে চাই পাকা পথ
হুগলির হরিপাল ব্লকের অধীন শ্রীপতিপুর-ইলিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধান্যহানা একটি কৃষিপ্রধান গ্রাম। এই গ্রামে যাওয়ার জন্য নালিকুল-ইলিপুর রোডের আলমপুর মোড় সংলগ্ন ধান্যহানা মাদ্রাসা থেকে মধ্য ধান্যহারা পর্যন্ত সরীসৃপের মতো আঁকাবাঁকা রাস্তায় দীর্ঘ দিন আগে মোরাম বিছানো হয়েছিল। বর্তমানে সেই রাস্তায় মোরামের অস্তিত্ব বিলুপ্তপ্রায়। মাঝে মাজে খানাখন্দ স্বাভাবিক ভাবে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাস্তার পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি জুনিয়র স্কুল আছে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরায় অসুবিধা হয়। ধান্যহানা গ্রামের পূর্ব দিকে হিন্দু মুসলনাম অধ্যুষিত ডাঙ্গা মহেশপুর গ্রাম। এই গ্রামের মানুষ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। এলাকার মানুষ চান ধান্যহানা মাদ্রাসা থেকে ধান্যহানা মধ্যপাড়া পর্যন্ত মোরাম উধাও রাস্তাটি ঢালাই রাস্তায় রূপান্তরিত করা হোক। সত্বর এই ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিদ্যুৎ ভৌমিক, তারকেশ্বর, হুগলি।
ফুটপাথ চাই শহরে
জেলার সদর শহর বহরমপুর। প্রতিদিন নগরায়নের ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। সেই অর্থে রাস্তা বাড়ছে না। ফলে বড় রাস্তা থেকে অলিগলি সর্বত্র যানজটের ধাক্কায় পথ চলাই দায় এখানে। আর অফিসের সময়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে সৈদাবাদ, খাগড়া, ইন্দ্রপ্রস্থ বা দক্ষিণ লালদিঘি পর্যন্ত ভিড়ের জন্য চলা মুশকিল। টুকটুকগুলি এখন শহরবাসীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পথচারীদের সবচেয়ে অসুবিধার কারণ এখানে কোনও ফুটপাথ নেই। যা আছে সব দোকানদারদের দখলে। কোথাও রয়েছে সাইকেলের পার্কিং। মানুষ একটু নিরাপদে পথ চলবে সে উপায় নেই। বছরের পর বছর ধরে চলছে এই দখলদারি। কিন্তু প্রশাসন বা পুরসভার এ ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। শহরবাসী কবে ফুটপাথ ফিরে পাবে, সে দিকে সংশ্লিষ্ট মহল কি একটু নজর দেবেন?
অশোক পাল, ফুলবাগান, মুর্শিদাবাদ।
শহরে পার্কের দাবি
হাওড়া জেলার অন্যতম গ্রামীণ শহর উদয়নারায়ণপুর। শহরের জনসংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে বিডিও অফিস, থানা, কৃষি অধিকর্তার অফিস, হাসপাতাল, কলেজ, সাব পোস্ট অফিস, নামকরা স্কুল সবই আছে। নেই বসার জায়গা। সকালে বিকালে শিশু, বৃদ্ধ — কারও জন্য বসার জায়গা নেই। অথচ দমোদর নদীর পশ্চিমে বকপোতা ব্রিজের কাছে রয়েছে ইকো পার্ক। সেটি পরিত্যক্ত। এটি ছাড়া উদয়নারাযণপুরে দ্বিতীয় কোনও পার্ক নেই। তাই এই পার্কটি সংস্কার করে শিশুদের আনন্দ দেবার জন্য ও বৃদ্ধদের ঘোরাফেরার ব্যবস্থায় সকলের কাছে আবেদন জানাই।
তারকনাথ মেটে, উদয়নারায়ণপুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy