
প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের শুনানি হাই কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রাজ্য এবং পর্ষদের সওয়াল শোনার পর হাই কোর্ট জানায়, গ্রীষ্মের ছুটির পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
হাই কোর্টে পর্ষদ: সরকারি আধিকারিকরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলা হচ্ছে। টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে, এটা অনুমানের ভিত্তিতে বলা হয়েছে। সরকারি চাকরি টাকা দিয়ে হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
হাই কোর্টে পর্ষদ: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রুল মেনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। কয়েক জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে।
হাই কোর্টে পর্ষদ: বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করা যায় না।
বিচারপতি চক্রবর্তী: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে। কী কী নির্ভরযোগ্য পদক্ষেপ করেছেন আপনারা?
পর্ষদ: ১ লক্ষ ২০ হাজার প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। ৪২৯০০ শূন্যপদ ছিল।
মামলায় রাজ্যের সওয়াল: মামলায় প্রথমে কারও চাকরি বাতিলের আবেদন করা হয়নি। মামলাকারীদের আবেদন ছিল, ‘প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আমাদেরও সুযোগ দেওয়া হোক।’
প্রাথমিক মামলার শুনানি শুরু হল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রথমে সওয়াল করতে উঠলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। পর্ষদ ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। কিন্তু ওই নিয়োগে একাধিক ত্রুটির অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তাঁর রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে ওই নির্দেশের তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে।
ঘটনাক্রমে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। যদিও শীর্ষ আদালত হাই কোর্টেই এই মামলা ফেরত পাঠায়।
গত ৭ এপ্রিল শুনানি স্থগিত হয়ে যায় বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয়। উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২৩ সালের ১৬ মে এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা শিক্ষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy