ঘাটালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ছবি পিটিআই।
মোদীর ৩২ আবারনরেন্দ্র মোদীর সোমবারের হিসেবে সংখ্যাটা দাঁড়িয়ে ছিল ৩২। মঙ্গলবার অমিত শাহ ফের তা ২৩-এ নামিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার ঘাটাল, মেদিনীপুর এবং বিষ্ণুপুরে তিনটি সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দাবি করেন, ২৩ মে রাজ্যে অন্তত ২৩টি আসন পাবে বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার মানুষ রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য এ বার ভোট দেবেন। মমতাদিদির সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। ২৩ তারিখ ২৩ টি আসন পাবে বিজেপি।’’ পরে মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির সভায় তিনি ফের বলেন, ‘‘কেন্দ্রে আরও একবার মোদী সরকার বানাতে দিন। বাংলায় ২৩টি আসন দিন। আমরা বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব।’’ বস্তুত, এর আগেও একাধিকবার রাজ্যে এসে শাহ ঘোষণা করেছিলেন, এখানে বিজেপি ২৩টি আসন পাবে।
অন্য দিকে, সোমবার ঝাড়গ্রামে সভা করতে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এ বারের নির্বাচনে তৃণমূল ১০টি আসনও পাবে না। প্রকারান্তরে মোদী বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে রাজ্যে ৩২টি আসন পেতে পারে বিজেপি।
এ দিন শাহের সভার পরে রাজ্য বিজেপির একাংশই বলতে শুরু করেছে, তা হলে কি বাংলার আসন সংখ্যা নিয়ে মোদী-শাহের সংশয় কাটেনি? সে কারণেই এক এক দিন এক এক রকম সংখ্যা শোনা যাচ্ছে?
এ দিন তিন সভাতেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে হাতিয়ার করেন শাহ। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘ঘাটালবাসী মমতাদিদিকে ভয় পান না তো? তা হলে বলুন জয় শ্রীরাম। মমতাদিদি আমি আপনার জায়গায় এসে জয় শ্রীরাম বলে গেলাম। যা পারেন করে নিন। শ্রীরাম ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ। আমাদের সংস্কৃতি থেকে তাঁকে আলাদা করতে পারবেন না।’’ শাহের হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মাটিতে জয় শ্রীরাম বলা হবে না তো কি পাকিস্তানে গিয়ে বলতে হবে?’’
বাঁকুড়ার সভা থেকে শাহকে পাল্টা জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচন এলে ওদের শ্রীরাম চন্দ্রকে মনে পড়ে। দলের এজেন্ট বানায়। পাঁচ বছর ধরে রাম নাম করেনি। ভোট এলেই কেবল রামের নাম মনে হয়।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমি জয় হিন্দ বলব, মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ বলব, জয় বাংলা বলব, জয় মা দুর্গা বলব। কিন্তু ওদের শিখিয়ে দেওয়া স্লোগান আমি বলতে পারব না।’’
এ দিন রাজ্যে তিনটি সভা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। সকালে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে দুপুরে তিনি চলে যান কাকদ্বীপ। আর সন্ধ্যায় প্রচার করেন কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy