হাসপাতালের পথে জখম দুই সিপিএম কর্মী। ছবি: দিলীপ নস্কর।
মুখোমুখি এসে পড়েছিল দু’দলের মিছিল। গোলমালের আশঙ্কায় এক পক্ষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মারপিট বেধে যায় সিপিএম-তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। জখম হন দু’পক্ষের প্রায় ২৫ জন। ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিমকে লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। গোলমাল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন কয়েকজন পুলিশকর্মীও।
শনিবার সকালে গুরুদাসনগর স্টেশনের কাছে বজরতলার ঘটনা। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২১ জনকে।
এর আগেও ফলতায় প্রচারে বেরিয়ে ফুয়াদ আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম প্রার্থী বলেন, ‘‘ওরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালাতে এসেছিল। তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আমাদের জনা পনেরো কর্মী জখম হয়েছেন। আমাকেও রেয়াত করেনি। লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কোনও হামলা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে তৃণমূলেরও পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে।’’ এ দিন সকালে ৯টা থেকে প্রচার কর্মসূচি ছিল ফুয়াদের। রেলগেটের কাছে জড়ো হতে থাকেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকে পৌঁছন গুরুদাসনগরে। পুলিশের উপস্থিতিতেই মিছিল যায় বজরতলা গ্রামে।
সে সময়ে উল্টো দিক থেকে আসছিল তৃণমূলের একটি মিছিল। পুলিশ সিপিএমের মিছিলটিকে রাস্তার পাশে সরিয়ে দেয়। অভিযোগ, শাসকদলের মিছিল কাছাকাছি পৌঁছতেই সেখান থেকে লোকজন তেড়ে যায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের দিকে। লাঠি-রড নিয়ে মারধর চলে বলে অভিযোগ। রুখে দাঁড়ান সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরাও। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তারাও আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের যুব সভাপতি গৌতম অধিকারীর নেতৃত্বে এ দিন মিছিল বেরিয়েছিল ওই এলাকায়। গৌতম বলেন, ‘‘প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ওই রাস্তায় আমাদের মিছিল বেরিয়েছিল। সিপিএমের মিছিলে বরং অনুমতি ছিল না। আমাদের উপরে ওরাই হামলা চালিয়েছে।’’ তাঁকেও মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি গৌতমের। ডায়মন্ড হারবারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি উমাপদ পুরকাইতের দাবি, তাঁদের দলের ৫ জন জখম হয়েছেন। পুলিশের বক্তব্য, আলাদা সময়ে দু’দলের মিছিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মিছিল সময় মেনেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফুয়াদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy