Advertisement
১১ মে ২০২৪

ভোটের আগে নন্দীগ্রামে খুলছে সিপিএম অফিস

২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে একের পর এক নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জয় হয়েছে। এলাকায় ‘শক্তি’ হারিয়ে বন্ধ হয়ে নন্দীগ্রাম বাজারে সিপিএম কার্যলয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

জমি আন্দোলনের ও পরবর্তী রাজনৈতিক পালাবদলের পরে নন্দীগ্রামে বন্ধ হয়েছিল সিপিএমের জোনাল কার্যালয়। ধীরে ধীরে সময় বদলেছে। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি সেই নন্দীগ্রামে প্রায় আট বছর পরে ওই কার্যলয় খুলতে চলেছে বামেরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ এপ্রিলই খোলা হবে কার্যলয়।

২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে একের পর এক নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জয় হয়েছে। এলাকায় ‘শক্তি’ হারিয়ে বন্ধ হয়ে নন্দীগ্রাম বাজারে সিপিএম কার্যলয়। তারপর নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের রেয়াপাড়ার দলীয় কার্যালয় থেকে কাজ চালানো হত। গত লোকসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে টেঙ্গুয়া বাজারে একটি বাড়ি ভাড়া দলীয় কার্যালয় খোলে সিপিএম। কিন্তু বন্ধ ছিল জোনাল কার্যালয়টি। এ বার তা খুলতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।

সিপিএম সূত্রে খবর, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে থাকা নন্দীগ্রামে আগামী সাত এপ্রিল প্রচারে যাবেন বামপ্রার্থী ইব্রাহিম আলি। সে দিন ইব্রাহিমের সমর্থনে টেঙ্গুয়া বাজার থেকে নন্দীগ্রাম বাসট্যান্ড, ব্লক অফিস পর্যন্ত রোড-শো করবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য রবীন দেব ও তমলুকের সিপিআই বিধায়ক অশোক দিন্দা। থাকবেন শরিকদলগুলির জেলা নেতৃত্ব। আর ওই দিনই নন্দীগ্রাম বাজারে বন্ধ থাকা কার্যালয়টি খোলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘ইব্রাহিমের সমর্থনে প্রচারের জন্য আগামী ৭ এপ্রিল নন্দীগ্রামে রোড-শো হবে। ৮ এবং ৯ এপ্রিলও নন্দীগ্রামে প্রচার চালানো হবে। ৭ এপ্রিল নন্দীগ্রাম বাজারে দলের বন্ধ থাকা কার্যালয় খোলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ওই কার্যালয় খোলা ঘিরে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে সাংগঠনিক শক্তি বেড়েছে বিজেপির। আড়াই বছর আগে তমলুক লোকসভা উপ-নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে আসে বিজেপি। ভোট বিভাজনের তত্ত্বে শাসকদলের একাংশ নন্দীগ্রামে বামপ্রার্থীর প্রচারে আপত্তি করছে বলেই খবর। যদিও বামফ্রন্টের নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক রামহরি পাত্র বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম বাজারে কার্যালয়টিকে আগে কয়েকবার খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে বাধা পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত খোলা যায়নি। আশা করি এবার কার্যালয় খোলা যাবে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘ওদের লোকজন থাকলে দলীয় কার্যালয় খুলতেই পারে। আমাদের আপত্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Party Office CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE