ছবি: সংগৃহীত।
ষষ্ঠ পর্বে পশ্চিমবঙ্গের অন্য ছ’টি লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে রবিবার ভোট ছিল বাঁকুড়ার দু’টি আসনেও। সেই ভোট শেষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস-কে সরিয়ে দেওয়া হল। নির্বাচন কমিশনের খবর, উমাশঙ্করের পরিবর্তে মুক্তা আর্যকে ওই পদে পাঠানো হচ্ছে। মুক্তা ২০০৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার। তিনি খাদ্য দফতরের যুগ্মসচিব ছিলেন। রাতেই তাঁর নতুন নিয়োগের ব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আজ, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে বাঁকুড়ায় গিয়ে নতুন জেলাশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পরে কমিশনের কাছে রিপোর্ট করতে হবে মুক্তাকে। সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব নিতে হবে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের ভোট-পরবর্তী স্ক্রুটিনির। লোকসভা ভোটে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্বে থাকেন জেলাশাসকই। সোমবার বাঁকুড়ার দু’টি লোকসভা কেন্দ্র বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন বুথে স্ক্রুটিনি করা হবে। প্রশাসনের অনেকের মতে, এই স্ক্রুটিনি পর্বে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। সেই দিক থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব মিটতে না-মিটতেই জেলাশাসককে বদলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কেন সরানো হল উমাশঙ্করকে? কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ‘জটিলতা’র সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনায় পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা তার পরে উমাশঙ্করকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন বলেও কমিশন সূত্রের খবর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিনের ভোটে বাঁকুড়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় গোলমালও হয়েছে। প্রশাসনের একাংশের ব্যাখ্যা, প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে জটিলতা এবং ভোটে আইনশৃঙ্খলা— এই সব কিছু নিয়ে উমাশঙ্করের উপরে ‘সন্তুষ্ট’ নয় কমিশন। তার জেরেই এই বদলি বলে মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy