Advertisement
E-Paper

রাজ্য আচরণবিধি চাইল বিএসএফে

দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিল শাসক দল তৃণমূল। ওই পর্বে ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসেবে বিএসএফ জওয়ানেরাও দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০১:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হয়েছে। অথচ ভোটে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘আচরণ’ অনেক ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ বার পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ভোটের কাজে যুক্ত জওয়ানদের ‘আচরণবিধি’ স্থির করার জন্য সম্প্রতি বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য।

দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিল শাসক দল তৃণমূল। ওই পর্বে ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসেবে বিএসএফ জওয়ানেরাও দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ভোটের আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছিলেন তাঁদের কেউ কেউ। তার মাধ্যমে সেই জওয়ানেরা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিল শাসক দল।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে বিএসএফ-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের অনুরোধ, এমন অভিযোগ বা ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বিএসএফ যেন তাদের জওয়ানদের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে। রাজ্যের দাবি, বিএসএফ-কর্তৃপক্ষ আচরণবিধি স্থির করে দিন, যা তাঁদের জওয়ানেরা পরবর্তী সময়ে মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, ১২ মে ষষ্ঠ দফায় আটটি এবং ১৯ মে সপ্তম তথা শেষ দফায় রাজ্যে ন’টি আসনে ভোট হবে। সব মিলিয়ে বাংলায় এখনও ১৭টি আসনে ভোট বাকি। ফলে নির্দিষ্ট আচরণবিধি মেনে চললে ভোট-নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ঘিরে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি হবে না। কোনও প্রশ্ন উঠবে না ভোটারদের মধ্যেও।

কমিশন সূত্রের খবর, আচরণ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিভিন্ন কমান্ডারকে ইতিমধ্যেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনও ধরনের প্রলোভন সম্পর্কে সতর্ক থেকে তা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সামগ্রিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা এবং ভোটে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি জওয়ানদের আচার-আচরণ যাতে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকে, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের আস্থা অর্জনেও একাধিক কাজ করতে হয় বাহিনীকে। ফলে তা ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যই করা হচ্ছে, এ কথা বলা ঠিক হবে না। তবে তাদের কোনও কাজ যাতে বাড়তি প্রশ্ন তুলতে না-পারে, তা নিশ্চিত করতেই এমন আর্জি জানানো হয়েছে বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে।’’

লোকসভা ভোট ২০১৯ Lok Sabha Election 2019 BSF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy