Advertisement
E-Paper

জেলায় ভারতীকে আটকাতে শীর্ষ আদালতে রাজ্য

এ বার জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতীকে যাতে পশ্চিম মেদিনীপুরেরর চৌহদ্দিতে ঢুকতে দেওয়া না হয়, সুপ্রিম কোর্টে সেই আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪২

আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের জোরেই বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পরে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন ভারতী ঘোষ। এ বার জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতীকে যাতে পশ্চিম মেদিনীপুরেরর চৌহদ্দিতে ঢুকতে দেওয়া না হয়, সুপ্রিম কোর্টে সেই আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

ভারতী এখন পুরো দমে ঘাটালে প্রচার করছেন। রাজ্যের যুক্তি, দাসপুর থানায় সোনা লুট ও প্রতারণা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভারতীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু প্রচারে গিয়ে তিনি তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। দাসপুর সোনা লুট ও প্রতারণার মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তার অভিযোগ, ‘‘ভারতী দাসপুর থানা এলাকায় প্রচার করছেন। ওই এলাকায় মামলার একাধিক সাক্ষী রয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন ভারতী। কয়েকটি ক্ষেত্রে সাক্ষীদের প্রভাবিত করছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগও এসেছে।’’

ভারতী অবশ্য বলছেন, ‘‘ভোট প্রচারে আমার জনপ্রিয়তা দেখে রাজ্য সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আমাকে জেলে রাখার চক্রান্ত হয়েছিল। এখন আমার পাশে মানুষের ঢল দেখে রাজ্য আমাকে আটকাতে ফের আদালতে গিয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘কয়েক দিন আগেই ভারতীর গাড়িতে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করেছে।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য দাবি, ‘‘ভারতী ঘোষকে নিয়ে আমাদের এতটুকু মাথাব্যথা নেই। উনি থার্ড পজিশনে থাকবেন।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

১৯ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, কোনও মামলাতেই আপাতত ভারতীকে গ্রেফতার করা যাবে না। পুলিশের খাতায় ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ঝুলছে। এইসব মামলার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস। প্রথমে ৭টি মামলা, তারপর বাকি তিনটি মামলাতেও তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট সুরাহা দেয়।

১৯ ফেব্রুয়ারির ওই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে। তত দিন ভারতীকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও শুনানি না হওয়ায়, গত ২৮ মার্চ রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। সে সময়ই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ৫ এপ্রিল শুনানি হবে। একটি অন্তর্বর্তী আর্জি জমা করে রাজ্য সরকার দাবি তুলেছে, ভারতীর পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। রাজ্য সরকার এর আগে ভারতীর ‘কল ডিটেলস রেকর্ডস’ সংক্রান্ত নথিও সুপ্রিম কোর্টের হাতে তুলে দিয়েছে।

Lok Sabha Election 2019 Bharati Ghosh TMC Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy