ছোট্ট একফালি মাঠ। সেখানে চট পেতে বসে আছেন গ্রামের কিছু মহিলা-পুরুষ। সামনে ঘাসের উপরে দাঁড়িয়ে খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর হাতে মাইক। বক্তৃতা করছেন তিনি। ভাষণ শেষে উপস্থিত গ্রামবাসীর কাছে মন্ত্রী সরাসরি জানতে চাইলেন, ‘‘আপনাদের কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে নিঃসংকোচে জানান।’’ কয়েকজন প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, ‘‘এলাকার নেতাদের কাছে কোনও সমস্যার কথা জানাতে গেলে নেতারা কথা বলেন না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের শংসাপত্র পেতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। আপনাকে নিয়ে বা তৃণমূলকে নিয়ে অবশ্য আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’’ এই কথা শুনে জ্যোতিপ্রিয় বললেন, ‘‘এখন থেকে কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধি কথা না শুনলে শাসন করবেন। আমাকে জানাবেন। ওদের কানমলে কাজ করিয়ে নেবেন। কথা না শুনলে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব। তবে সকলের কাছে অনুরোধ, আমাদের ছেড়ে যাবেন না।’’
লোকসভা ভোটের প্রচারে এ ভাবেই গ্রামে গ্রামে মানুষের অভিযোগের কথা শুনছেন জ্যোতিপ্রিয়। মূলত হাবড়ার গ্রামীণ এলাকাতেই তিনি এই ধরনের সভা করছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সভা হয়ে গিয়েছে। আরও কয়েকটি সভা করার কথা। সভাগুলির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘চট বৈঠক’ (মাটির উপর চট পেতে বসে বৈঠক)। সঙ্গে থাকছে তেলেভাজা, মুড়ি, চা।
কেন মন্ত্রীকে এ ভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে?