বক্তা: সভায় মন ঘিসিঙ্গ। নিজস্ব চিত্র
পাহাড়ে যে আর একটিই কোনও দলের আধিপত্য থাকবে না, তা বোঝা গেল রবিবার জিএনএলএফের সভায়। দার্জিলিং মোটরস্ট্যান্ডে এই সভায় উপছে পড়ল ভিড়। অনেকেই মনে করছেন, সভার এই ভিড় প্রমাণ করে দিল, পাহাড়ের অন্য দলগুলোও পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে।
সেই জিএনএলএফের আমল থেকে পাহাড় মোটামুটি ভাবে যে কোনও একটি দলের প্রভাবেই ছিল। ঘটনাচক্রে সেই জিএনএলএফের সভাতেই পাহাড়ে যেন পরিস্থিতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলল। জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিঙ্গ সেই সভা থেকে জিটিএ তুলে দেওয়ারও দাবি করলেন। তিনি তাঁর দলের পুরনো দাবিই ফের তুললেন। তাঁর বক্তব্য, পাহাড়কে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
দীর্ঘ দিন বাদে দার্জিলিং শহরে এ দিন সভা করল জিএনএলএফ। জিএনএলএফ প্রধান সুবাস ঘিসিঙ্গের মৃত্যুর তিন বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ দিন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিকে সামনে রেখে সভার আয়োজন করে জিএনএলএফ। সেখানেই মন ঘিসিঙ্গ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব, জিটিএ-র বোর্ড তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে শান্তি চান। এই বোর্ড থাকলে অশান্তি হতে পারে। তার দায় জিএনএলএফ নেবে না।’’ তাঁর কথায়, যত দিন পাহাড়ের সমস্যা না মিটছে, ততদিন কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে জিটিএ রাখা যাবে না। জিটিএ-র সাংবিধানিক বৈধতা নেই বলেও তিনি দাবি করেছেন।
সেই সঙ্গে এ দিন মন মোর্চা নেতাদেরও নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। নিরজ জিম্বা, মহেন্দ্র প্রধানের মতো দলের নেতারা জানান, অনেকে ভেবেছিলেন জিএনএলএফ ফুরিয়ে গিয়েছে। ২০০৭ সালে ঘিসিঙ্গকে পাহাড় ছাড়া করে বিমল গুরুঙ্গ নেতৃত্বাধীন গোর্খা জন মুক্তি মোর্চা। ঘিসিঙ্গকে দীর্ঘ দিন জলপাইগুড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়েছে। মায়ের মৃতদেহ নিয়েও পাহাড়ে যেতে পারেননি মন ঘিসিঙ্গও। এ দিন সেই মনকেই দার্জিলিঙে বড় সভা করতে দেখে খুশি অন্য দলগুলোও।
পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিন্নি শর্মার কথায়, ‘‘বোঝা যাচ্ছে পাহাড়ে শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরেছে।’’ জিটিএ নিয়ে মনের বক্তব্য প্রসঙ্গে জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপার মত, ‘‘জিএনএলএফ একটি আলাদা দল। তারা নিজেদের মত জানিয়েছে। পাহাড়ের মানুষ যা চান তাই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy