হেস্টিংস ভবন চত্বরে নতুন মহিলা কলেজের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নাম রাখলেন সিস্টার নিবেদিতা কলেজ। একইসঙ্গে এ দিন ওই চত্বরে সরকারি অতিথি ভবন ‘সৌজন্য’-এরও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান থেকেই রিমোটে গাইঘাটায় প্রমথনাথ ঠাকুরের নামে কলেজের উদ্বোধন এবং স্বাস্থ্য পরিবহণ ভবনের শিলান্যাসও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর কলেজের নতুন ভবনেরও।
‘‘শিক্ষালয় আমাদের দেবলয়। শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে দর্শন, দর্শন আনে বিবেক, বিবেক আনে আবেগ। শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই, সংস্কৃতির কোনও বিকল্প নেই এবং সভ্যতার কোনও বিকল্প নেই।’’
এই অনুষ্ঠানে মমতা যা যা বললেন:
‘‘এর আগে কলকাতায় মহিলাদের জন্য সরকারি কলেজ বলতে ছিল, লেডি ব্রাবোর্ন এবং বেথুন কলেজ। তার পরে আর হয়নি। নতুন এই মহিলা কলেজের নাম ঠিক করেছি— সিস্টার নিবেদিতার নামে, সিস্টার নিবেদিতা কলেজ।’’
‘‘কলকাতায় নানা কূটনৈতিক আলোচনার জন্য বা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ছিল না। সেই জন্যই আমরা এই ভবন তৈরি করছি। আমরা যেখানে কাজ করি, তার নাম রেখেছি ‘নবান্ন’। নতুন ধান, মাটিকে আহ্বান জানিয়ে ওই নাম রাখা হয়েছে। মাটি থেকেই তো ধান হয়। সে রকমই বাংলা ডিপ্লোম্যাসি ‘সৌজন্য’। সে কারণে, এই ভবনের নাম রাখা হচ্ছে সৌজন্য।’’
‘‘স্বাধীনতার পর থেকে ৬৬ বছরে এ রাজ্যে ৩০টি কলেজ হয়েছে। আমরা চার বছরে ৪৫টি কলেজ করেছি। তার মধ্যে ৩০টি সরকারি। ছ’টি সরকারি এবং সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরা এ মাসেই লন্ডন যাব। সেখানে শিক্ষা সংক্রান্ত অনেকগুলি মউ স্বাক্ষর হবে। আমি চাই, এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করুক। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে বলেছি। কলকাতায় শেখ মুজিবর রহমানের নামে গত মার্চ থেকেই চেয়ার চালু হয়ে গিয়েছে। ইকবালের নামে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চেয়ার হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy