Advertisement
১৭ মে ২০২৪

ফিতে কাটার জন্য যেন রোগী ভর্তি আটকে না থাকে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

পরিদর্শনের পরে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, কোনও মন্ত্রী-আমলার ফিতে কেটে উদ্বোধনের জন্য রোগী পরিষেবা আটকে থাকবে না। দমকল, পূর্ত দফতর অনুমতি দিলেই নতুন ইমার্জেন্সি বিভাগে রোগী ভর্তির কাজ শুরু হবে।

পর্যবেক্ষণ: এসএসকেএমে মমতা। বুধবার। — নিজস্ব চিত্র।

পর্যবেক্ষণ: এসএসকেএমে মমতা। বুধবার। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৫:০৫
Share: Save:

বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (বিআইএন) এবং এসএসকেএম হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ এক হয়ে যেতে চলেছে। সেই নতুন বিভাগ তৈরির কাজ দেখতে বুধবার দুপুরে আচমকা হাসপাতালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিদর্শনের পরে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, কোনও মন্ত্রী-আমলার ফিতে কেটে উদ্বোধনের জন্য রোগী পরিষেবা আটকে থাকবে না। দমকল, পূর্ত দফতর অনুমতি দিলেই নতুন ইমার্জেন্সি বিভাগে রোগী ভর্তির কাজ শুরু হবে।

মঙ্গলবারের শম্ভুনাথ পণ্ডিত এবং রামরিক দাস হরলালকা হাসপাতালের মতোই এ দিন তিনি আচমকা এসএসকেএমে হাজির হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হতচকিত হয়ে পড়েন।

তাঁর হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার খবর পেয়ে সুপার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান। পরিদর্শনের সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের পরিদর্শনে তিনি নতুন ইমার্জেন্সির পরিকাঠামো দেখেন। পুরো হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শনের পাশপাশি পড়ুয়াদের হোস্টেল এবং ক্লাস নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন।

হাসপাতালের এক কর্তা জানান, বিআইএন এবং এসএসকেএম হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ পাশাপাশি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নির্দেশ ছিল একে অপরের জিনিস ব্যবহার করতে পারবে না। যার জেরে
একাধিক বার নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মাস দুয়েক আগে এসএসকেএমের ইমার্জেন্সিতে এক রোগী ভর্তির সময়ে বিআইএন থেকে হুইল চেয়ার নেওয়ার জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে আশা, এ বার থেকে রোগী কিংবা রোগীর পরিজনদের এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না। নতুন ইমার্জেন্সি বিভাগে এক জন রোগীকে কোন বিভাগে নিয়ে যেতে হবে, তা নিয়ে তাঁর পরিজনদের দরজায়-দরজায় ঘুরতে হবে না। ইমার্জেন্সিতেই একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে যেখানে রোগী এলে চিকিৎসক সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা
করে তাঁকে নির্দিষ্ট বিভাগে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

মঙ্গলবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জঞ্জাল দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন। বুধবার অবশ্য এ ব্যাপারে পাশ করে গিয়েছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। তবে, হাসপাতালের রাস্তাঘাট পরিষ্কার থাকলেও চারপাশে রোগী ও পরিজনের ভিজে জামাকাপড়
ঝুলতে দেখে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃপক্ষকে হাসপাতাল চত্বরের নির্দিষ্ট জায়গায় রোগী এবং পরিজনদের জামাকাপ়ড় শুকনোর ব্যবস্থা করার
নির্দেশ দিয়েছেন।

হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘‘উনি নিজে উডবার্নের পিছনের দিকের একটি মাঠ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। সেখানেই রোগীর পরিজনদের জামাকাপড় শুকনোর ব্যবস্থা করা হবে।’’

এ দিনের পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE