কালিম্পঙে ভোটের লাইন। ছবি: সন্দীপ পাল।
বোমা। সন্ত্রাস। প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতেই ভোট লুঠ। রাজ্যে ৭ পুরসভার ভোটের দিন এমন সব গুরুতর অভিযোগ শুনতে বিরোধীদের মুখোমুখি হওয়া দূর অস্ত্। উধাওই হয়ে গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন! রীতি মেনে ভোটদানের ছবি কোথায় কেমন, সেই তথ্যও পাওয়া গেল না কমিশনের কাছ থেকে!
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে সিংহের ভূমিকা দেখে বিরোধী কংগ্রেস, বাম এবং বিজেপি সকলেই তাঁকে রবিবার ‘অযোগ্য’ এবং ‘অপদার্থ’ আখ্যা দিয়েছে। কংগ্রেস এবং বাম প্রতিনিধিরা এ দিন কমিশনে হাজির হয়েছিলেন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু কমিশনারের দেখা তাঁরা পাননি। শেষ পর্যন্ত শেক্সপিয়র সরণি থানায় কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস এবং বাম। বিরোধীরা একসুরে এ বারের পুরভোটকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করার দাবি তুলেছে।
বিভিন্ন পুর-এলাকায় বাইক বাহিনীর দাপট দেখে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য আগেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে সওয়াল করেছিলেন স্বয়ং কমিশনার। অথচ এ দিন অভিযোগ জানাতে সুজন চক্রবর্তী, ওমপ্রকাশ মিশ্র বা শিশির বাজোরিয়ারা গেলে কমিশনার দেখা করার সময়ই দেননি! বিরোধীরা সেখানে বিক্ষোভ শুরু করে, ভেঙে ফেলা হয় পুলিশি ব্যারিকেড। বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবু বলেন, ‘‘মানুষ ভোট দিতে পারবে না। সেটা জানাতে গেলেও কমিশনার শুনবেন না! এই মনোভাব সংবিধান বিরোধী!’’
আরও পড়ুন...
এ কেমন ভোট হল, বলুন তো কর্তা!
ভোট চলাকালীনই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘ফলাফল প্রকাশের অবকাশই নেই! এই নির্বাচন বাতিল করা হোক। তবে বাতিল হলে পরের নির্বাচন অবাধ হবে, সেই আশা করারও জায়গা নেই!’’ একই দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানেরও। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা অবাধ নির্বাচন চেয়েছিলাম। অবাধ সন্ত্রাস হয়েছে!’’ তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘হেরে যাবে বুঝে বিরোধীরা নাটক করছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy