Advertisement
E-Paper

ফাইলেরিয়ার কোপে ১৪ শিশু

ফাইলেরিয়া আক্রান্ত বাড়ছে জেলায়। এই রোগ নির্মূলে তাই বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন। প্রতি ব্লকের কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২৭

ফাইলেরিয়া আক্রান্ত বাড়ছে জেলায়। এই রোগ নির্মূলে তাই বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন। প্রতি ব্লকের কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষাও হচ্ছে। পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪ জন শিশু ফাইলেরিয়ায় আক্রান্ত। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেই এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

তবে কি জেলায় আরও ফাইলেরিয়া আক্রান্ত শিশু রয়েছে? সদুত্তর এড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “কয়েকজন ফাইলেরিয়া আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ওদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই!” রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, “যে সব এলাকায় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, সেখানে ফাইলেরিয়ার প্রকোপ এড়াতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।”

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে চার জন খড়্গপুর-১ ব্লকের, দু’জন করে গড়বেতা-৩ ও সাঁকরাইল ব্লকের। একজন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মেদিনীপুর সদর, বিনপুর-২, গোপীবল্লভপুর-২, গড়বেতা-১, কেশপুর, শালবনি ব্লকে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “এই সময়ের মধ্যে অনেক স্কুলে শিবির হয়েছে। সেখান থেকেই ১৪ জন ফাইলেরিয়া আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।”

কতগুলো প্রাথমিক স্কুলে শিবির হয়েছে? জেলার ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “এখনও পর্যন্ত ২২২টি স্কুলে শিবির হয়েছে। এরমধ্যে নয়াগ্রামের ১০টি স্কুল, ঝাড়গ্রামের ১১টি স্কুল, ডেবরার ১০টি স্কুল, সবংয়ের ১০টি স্কুল, নারায়ণগড়ের ১৪টি স্কুল রয়েছে। পাশাপাশি, কেশপুরের ১৫টি স্কুল, গড়বেতা- ১ এর ৯টি স্কুল রয়েছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, এই সময়ের মধ্যে ৪,৩১৪ জন শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

কিউলেক্স মশার কামড়েই ফাইলেরিয়া হয়। এই মশা সাধারণত সন্ধ্যার দিকে কামড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। এ বার উদ্বেগ বাড়িয়েছে ফাইলেরিয়া। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “ফাইলেরিয়াও মশাবাহিত রোগ। মশার জন্ম প্রতিরোধ করা গেলেই এই রোগের প্রকোপ কমবে। তাই মশার জন্ম প্রতিরোধ করার উপরই সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
মশাবাহিত রোগ নিবারণে বেশ কিছু কর্মসূচিও চলছে।’’

Filaria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy