Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

খড়্গপুরে জমা পড়ল ১৭২টি মনোনয়ন পত্র

মনোনয়ন তোলা ও জমার শেষ দিন ছিল বুধবার। এ দিন খড়্গপুরে মূলত তৃণমূল প্রার্থীরাই মনোনয়ন পত্র জমা দেন। কয়েকজন বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। মহকুমাশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৭২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। মনোনয়ন পর্ব নির্বিঘ্ন করতে মহকুমাশাসকের কার্যালয় চত্বরে জারি ছিল ১৪৪ ধারা।

মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল। —নিজস্ব চিত্র।

মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৮
Share: Save:

মনোনয়ন তোলা ও জমার শেষ দিন ছিল বুধবার। এ দিন খড়্গপুরে মূলত তৃণমূল প্রার্থীরাই মনোনয়ন পত্র জমা দেন। কয়েকজন বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। মহকুমাশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৭২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। মনোনয়ন পর্ব নির্বিঘ্ন করতে মহকুমাশাসকের কার্যালয় চত্বরে জারি ছিল ১৪৪ ধারা।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি লোক যাতে জমায়েত না করে, সে জন্য সব রাজনৈতিক দলকেই বলা হয়। যদিও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দল বেঁধে কর্মীদের ঢুকতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। এমনকী পতাকা হাতে স্লোগান দিতে দিতেই মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন বিভিন্ন দলের কর্মীরা। শহরের তালবাগিচা থেকে প্রার্থীর সঙ্গে মিছিল করে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে আসা এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, “দলের প্রার্থীর সঙ্গে আমরা ভিতরে এসেছি। নিষেধাজ্ঞা থাকলে পুলিশ তো বাধা দিত। পুলিশ তো কিছু বলেনি।”

শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “আমাদের প্রার্থীদের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে প্রবেশ না করার কথা জানানো হয়েছিল। হয়তো উৎসাহী কিছু মানুষ মিছিল নিয়ে অজান্তে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু পুলিশ তো ছিল।” অবশ্য খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ এ দিন দাবি করে, মহকুমাশাসককে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমি সর্বদল বৈঠক করে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ১৪৪ ধারা জারি করার কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। এর পরেও যদি কোনও মিছিল ফাঁক গলে ঢুকে পড়ে কি করার আছে? আমি খোঁজ নেব।”

এ দিন সকাল সকাল মনোনয়ন জমা দিতে আসেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দেবাশিস চৌধুরী। আর একেবারে শেষে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জহরলাল পাল। মিছিল করে মনোনয়ন জমা দেন অন্য তৃণমূল প্রার্থীরাও। বিজেপির ১১ জন ও কংগ্রেসের ৪ জন প্রার্থীও এ দিন মনোনয়ন জমা দেন। খড়্গপুরের চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল করেছে বিজেপি। এ দিন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “৩৫টি ওয়ার্ডেই দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা আগে থেকে শংসাপত্র বা ভোটার তালিকায় নাম না থাকার কথা জানায় নি। তাই ওই চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল করতে হয়েছে।” দলীয় সূত্রে খবর, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সজল রায়, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে অলোকা মুর্মু, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দনা সরকার, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে সুমন্ত বিশ্বাসকে প্রার্থী করা হয়েছে। ওইসব ওয়ার্ডে আগের প্রার্থী বদল করা হয়েছে। কংগ্রেসও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। ওই ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী হয়েছেন রমা কুমারী। মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “গোটা মনোনয়ন পর্বে মোট ২০১টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। তবে মোট ১৭২টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE