ডিজিট্যাল রেশন কার্ডের জট কাটাতে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দাবি করলেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। মঙ্গলবার বৈঠক শেষে প্রদীপবাবু বলেন, “খাদ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি, প্রয়োজনের তুলনায় শহরে অনেক কম কার্ড এসেছে। উনি সমস্যা মন দিয়ে শুনেছেন। সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন।’’ মঙ্গলবার দুপুরে খাদ্য ভবনে এই বৈঠক হয়। পরে নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রদীপবাবু। সমস্যার কথা জানান তিনি।
কিন্তু কোন পথে সমস্যার সমাধান হবে? পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “খাদ্য দফতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। যাঁদের নামে কার্ড আসেনি, তাঁদের ফের ফর্ম পূরণের সুযোগ দেওয়া হবে। সেই ফর্ম খতিয়ে দেখে নতুন করে ডিজিট্যাল কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।’’ যত দিন সেই কার্ড হাতে না আসছে, তত দিন কি গ্রাহকেরা পুরনো কার্ডে রেশন পাবেন? প্রদীপবাবুর জবাব, “দু’-তিনদিনের মধ্যে সব জানা যাবে।’’
গ্রাহক সংখ্যার তুলনায় অনেক কম সংখ্যক ডিজিট্যাল কার্ড আসায় খড়্গপুরে রেশন নিয়ে আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। রেলশহরে রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। অথচ, ডিজিট্যাল কার্ড এসেছে এক লক্ষের কিছু বেশি। কার্ড বিলির প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল পুরসভার। তবে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে কার্ড বিলি বন্ধ রাখে পুরসভা। সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজতে সোমবার খড়্গপুরে বৈঠকে বসের পুর-কর্তৃপক্ষ এবং খাদ্য দফতরের কর্তারা। পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ডিজিট্যাল কার্ড তারা বিলি করতে পারবে না। তখন ঠিক হয়, খাদ্য দফতর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কার্ড বিলি করে দেবে।
২৮ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ডিজিটাল কার্ড বিলি করতে হবে বলে আগে জানিয়েছিল খাদ্য দফতর। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে তা ৭ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। এরপর আর নতুন কার্ড ছাড়া গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী না পাওয়ারই কথা। খড়্গপুরের রেশন জট প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, “পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy