সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অভিযুক্ত চিকিৎসক হাফিজুল লস্করকে শো-কজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কুলটিকরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত দু’মাস যাবত হাফিজুল একাই চিকিৎসক ছিলেন। অথচ হাফিজুল যে অসুস্থতার জন্য ছুটি নিচ্ছেন, সে ব্যাপারে ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তিনি জানাননি। শুক্রবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে কুলটিকরিতে যোগ দেন চিকিৎসক দেবব্রত মান্না। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসক হাফিজুল লস্করের দু’সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। এ দিন বর্হিবিভাগে বসে প্রায় ৫০ জন রোগী দেখেন দেবব্রতবাবু। অন্তর্বিভাগে এ দিন রোগী ভর্তি হননি।
ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাঝি বলেন, “হাফিজুল ছুটিতে গেলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিকিৎসহীন হয়ে যাবে, সেকথা তিনি আমাকে জানাননি। এ ব্যাপারে হাফিজুলকে কারণ দর্শাতে বলেছি। বিএমওএইচ-এর কাছেও জবাাবদিহি চাওয়া হবে।”
অন্য দিকে, চিকিৎসায় অবহেলার জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় শাস্তির মুখে পড়লেন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবার্ঘ্য মণ্ডল। দেবার্ঘ্যবাবুকে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে ঝাড়গ্রাম থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ অগস্ট রাতে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন মণিমালা ভট্টাচার্য নামে এক তরুণী বধূ। মণিমালাদেবী অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক দেবার্ঘ্যবাবু ঠিকমতো পরীক্ষা না করে তাঁকে সিসিইউতে পাঠিয়ে দেন। ২৯ অগস্ট ভোরে সেখানে মৃত্যু হয় মণিমালাদেবীর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে দেবার্ঘ্যবাবুর বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর।
দেবার্ঘ্যবাবুকে স্বাস্থ্যভবনে তলব করা হয়। অবশেষে তাঁকে শাস্তিমূলক উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙে বদলি করে দেওয়া হল। বিভাগীয় তদন্তের পরে স্বাস্থ্যভবনের বক্তব্য, মণিমালাদেবীর সমস্যটি ছিল স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত--‘রাপচার্ড একটোপিক প্রেগন্যান্সি’। অর্থাৎ তাঁর গর্ভস্থ ভ্রূণটি জরায়ুর পরিবর্তে ডিম্বনালীতে বেড়ে উঠেছিল। ভ্রূণটি বড় হয়ে যাওয়ায় ডিম্বনালীটি ফেটে গিয়ে বিপত্তি হয়। এই সমস্যা হলে আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার জরুরি। কিন্তু মণিমাালাদেবী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করা হয়নি। উল্টে গ্যাসটাইটিসের চিকিৎসা করেন দেবার্ঘ্যবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy