Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বন্যায় দুর্ভোগ এড়াতে হচ্ছে দু’টি কজওয়ে

বর্ষা এলেই ভাসে রাস্তা। তখন যাতায়াতের ভরসা নৌকো। সমস্যা মেটাতে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের দু’টি উড়ালপুল ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। যদিও এই রাস্তার মনসাতলা ও কেঠিয়ায় কোনও উড়ালপুল না থাকায় বর্ষায় গোটা এলাকা জলে ডুবে যায়।

বানভাসি: এই ছবি বদলাবে বলেই আশা। ফাইল চিত্র

বানভাসি: এই ছবি বদলাবে বলেই আশা। ফাইল চিত্র

অভিজিৎ চক্রবর্তী
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০০:৪১
Share: Save:

বর্ষা এলেই ভাসে রাস্তা। তখন যাতায়াতের ভরসা নৌকো। সমস্যা মেটাতে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের দু’টি উড়ালপুল ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। যদিও এই রাস্তার মনসাতলা ও কেঠিয়ায় কোনও উড়ালপুল না থাকায় বর্ষায় গোটা এলাকা জলে ডুবে যায়। এ বার এই দু’টি জায়গায় ভেন্টেড কজওয়ে তৈরি করবে প্রশাসন।

এই কজওয়ে দু’টি তৈরির জন্য ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চলতি মাস থেকেই কাজও শুরু হয়ে যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই দু’টি ভেন্টেড কজওয়ের কাজ শেষ হলে বন্যার সময়ও ঘাটালে যোগাযোগের কোনও সমস্যা হবে না। বর্ষার আগেই শেষ করতে দ্রুত গতিতে কাজ চলবে।”

চাতাল (কজওয়ে) কী?

নদী ও খালের জল নিকাশীর জন্য ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাস্তার কয়েকটি অংশ নীচু করে তৈরি করা হয়েছে। এটিই চাতাল (কজওয়ে)। চাতালে রাস্তার উপর দিয়েই নদী বা খালের জল বয়ে যায়। অন্য সময় জল কম থাকায় চাতাল দিয়ে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয় না। যদিও বর্ষায় নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় চাতাল জলে ডুবে যায়। সেই সময় রাস্তা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কে মোট ছ’টি চাতাল (কজওয়ে) রয়েছে। ঘাটালের তিনটি চাতালে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই ঘাটাল শহর সংলগ্ন দু’টি চাতালে উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। গত বছর দু’নম্বর চাতালে উড়ালপুলের উদ্বোধন হয়।

যদিও উড়ালপুল না থাকায় বর্ষায় চন্দ্রকোনার মনসাতলা ও কেঠিয়া চাতালে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা মেটাতে তৈরি করা হয় ‘ভেন্টেড কজওয়ে’। কী ভাবে তৈরি হবে ‘ভেন্টেড কজওয়ে’? পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, আগে চাতালগুলির উপর সিমেন্টের হিউম পাইপ বসানো হবে। তারপর বালি দিয়ে ভরাট করে মূল রাস্তার সমান্তরালে ঢালাই রাস্তা তৈরি হবে। চাতাল থেকে আট ফুট উঁচু করে রাস্তাটি তৈরি হবে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মনসাতলা চাতাল ৬৫০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ১২ মিটার চওড়া করা হবে। এই চাতালে সিমেন্টের হিউম পাইপ দিয়ে তৈরি হবে ‘ভেন্টেড কজওয়ে’। সঙ্গে একটি ছোট ‘বক্স কালভার্ট’ও তৈরি হবে। অন্য দিকে, কেঠিয়া চাতালটিও ৪৫০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ১২ মিটার চওড়া হবে। এই দুই চাতালে বসানো হিউম পাইপ দিয়ে সহজেই নিকাশি নালার জল বেরিয়ে যাবে। মনসাতলা চাতালের জন্য ২১ কোটি টাকা ও কেঠিয়া চাতালের জন্য ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। জেলার নির্বাহী বাস্তুকার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কাজের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। ”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ghatal Vented Causeway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE