ব্লকে ব্লকে চাষের ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা এখনও পৌছয়নি। ফলে, ক্ষোভ বাড়ছে চাষিদের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এ বারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৮ কোটি। প্রথম ধাপে ৩৭ কোটি টাকা পেয়েছিল জেলা। সেই দেওয়া হয় প্রতিটি ব্লকে। তবে তা এখনও পুরো বিলি হয়নি। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের টাকাও জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু তা এখনও ব্লকে ব্লকে পাঠানো হয়নি। কৃষি দফতর জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। সেই কাজ শেষ হলেই ব্লকে ব্লকে টাকা দেওয়া হবে। জেলার সহ-কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘তালিকা তৈরির কাজ শেষের পথে। আশা করছি, শীঘ্রই সেই কাজ শেষ হবে। তারপরই টাকা দেওয়া হবে।’’
গত কয়েকমাসে ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার ১৬টি ব্লকে চাষে ক্ষতি হয়। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ধান ও সব্জির। ৪২,৭৮৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ জেলা ৫৭ কোটি ৫৭ লক্ষ সাড়ে ৯৭ হাজার টাকা দাবি করে। দু’ধাপে সেই টাকাই জেলায় পৌঁছেছে। চাষে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে নারায়ণগড়, দাঁতন-১ ও ২ ব্লকে। এ ছাড়াও, ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর-২ ও জামবনি, গড়বেতা-১ ও ২ এবং ঘাটাল ব্লকে চাষ ক্ষতির মুখে পড়ে। সেই ক্ষতির তালিকা তৈরি করতেই হিমশিম প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত বলে দাবি করছেন। তাই অতি সতর্ক হয়ে তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে কৃষি দফতরকে। ফলে, সময় লাগছে বেশি। সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। নির্মলবাবু বলেন, ‘‘প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে কিছুতেই বঞ্চিত না হন তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। কিছু সুবিধেবাদী ক্ষতি না হলেও ক্ষতিপূরণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। কৃষি আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছি, সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ
দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy