Advertisement
১৯ মে ২০২৪

টিচার-ইন চার্জকে সরানো নিয়ে বিক্ষোভ কলেজে

ডেবরা থানা মহাবিদ্যালয়ের টিচার-ইন চার্জ সুতপা পালকে সরিয়ে বিপাশা মজুমদারকে ওই পদে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৪
Share: Save:

ডেবরা থানা মহাবিদ্যালয়ের টিচার-ইন চার্জ সুতপা পালকে সরিয়ে বিপাশা মজুমদারকে ওই পদে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য। বুধবার পুরনো টিচার-ইন চার্জকেই দায়িত্বে বহাল রাখার দাবিতে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। এ দিন ফের এসএমএস মারফৎ সুতপাদেবীকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দায়িত্বে তিনিই থাকছেন। এক সূত্রে দাবি, বিক্ষোভের জেরে মহকুমাশাসক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। সুতপাদেবীই টিচার-ইন-চার্জ থাকছেন শোনার পর এ দিন অবস্থান বিক্ষোভ উঠে যায়।

মাস খানেক আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল কলেজের পরিচালন সমিতি। মহকুমাশাসক সঞ্জয়বাবুকে কলেজের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এ বার হঠাৎ কেন টিচার-ইনচার্জ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত? মহকুমাশাসকের সংক্ষিপ্ত জবাব, “এ রকম কিছু হয়নি। যিনি টিচার-চার্জ-ছিলেন তিনিই রয়েছেন।” আর টিচার-ইন-চার্জ সুতপা পালের দাবি, “মঙ্গলবার ই-মেলে পদ পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। বুধবার এসএমএস করে মহকুমাশাসক জানান, পুনরায় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমিই টিচার-ইন-চার্জ থাকছি।”

দিন কয়েক আগে কলেজের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরেই কলেজের পরিচালন সমিতি ভেঙে মহকুমাশাসককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আগে পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা প্রদীপ কর। বিরোধীদের অভিযোগ, পরিচালন সমিতি ভাঙার পরেই প্রদীপবাবুর বিরোধী তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রতন দে ও স্থানীয় বিধায়ক সেলিমা খাতুনের গোষ্ঠীর লোকেরা সমিতির দখল নিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরই প্রথম ধাপ হিসেবে আগের পরিচালন সমিতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত টিচার-ইন-চার্জকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপবাবুর দাবি, “আমি যতদিন ছিলাম, উন্নয়ন করেছি। সরে যাওয়ার পর থেকে কলেজের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি।” এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রতন দে’র দাবি, “কলেজ তার নিজস্ব নিয়মে চলছে। দল কলেজের কাজে হস্তক্ষেপ করে না।” ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুনের বক্তব্য, ‘‘মহকুমাশাসক কলেজ পরিচালনার বিষয়টি দেখছেন। আমি কেন সে বিষয়ে নাক গলাতে যাব।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভানেত্রী দেবলীনা নন্দী বলেন, “কলেজের টিচার-ইন চার্জ থাকা বা বদলের বিষয়টি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। আমাদের ছাত্র সংগঠন কোনও প্রতিবাদ করেনি। ছাত্রছাত্রীরা অল্প সময়ের জন্য অবস্থান করেছিল বলে শুনেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Debra Thana Mahavidyalaya Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE