পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি ব্লকের সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। টিচার-ইনচার্জ সুতপা ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে কলেজ গেটের সামনে টানা দশদিন অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। সুতপাদেবী অবশ্য ‘অসুস্থ’ হয়ে ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। বিষয়টি অবহিত হয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মহিষাদল রাজ কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার বেরাকে সেবাভারতী কলেজের প্রশাসক নিয়োগ করেছে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ সমূহের পরিদর্শক অভিজিৎ রায়চৌধুরী বুধবার বলেন, “সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের বিষয়টি উপাচার্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। ওই কলেজে একজন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। টিচার-ইনচার্জ অসুস্থতার জন্য কলেজে আসছেন না। তিনি সুস্থ হয়ে যোগ দিলে প্রশাসক কলেজে যাবেন। সমস্যা মেটানোর জন্য ভবিষ্যতে পদক্ষেপ করা হবে।”
কিছুদিন আগে বিপিএডের আবাসিক ছাত্রীদের হস্টেল নিয়ে সমস্যা হয়। অভিযোগ, গত ১২ অগস্ট আলোচনায় ডেকে সুতপাদেবী বিপিএডের প্রথম বর্ষের আবাসিক এক ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে চ়ড় মারেন। সংজ্ঞা হারান ওই ছাত্রী। ছাত্রীটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে জামবনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীটির বাবা। ১৬ অগস্ট থেকে কলেজের গেটের সামনে সুতপাদেবীর ইস্তফার দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও বহুবিধ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে কলেজের পঠন-পাঠন হচ্ছে না। ১৭ অগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান সুতপাদেবী। তবে কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন সুতপাদেবী।
কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, টিচার-ইনচার্জ কলেজটিকে ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত করেছেন। কলেজ সমূহের পরিদর্শকের কাছে এই অভিযোগপত্র দিয়েছেন পড়ুয়ারা। কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কলেজে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর জন্য বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি দিয়েছেন। একই চিঠি ডাকযোগে টিচার-ইনচার্জকেও পাঠানো হয়েছে। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অসুস্থ সুতপাদেবীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy