নতুন ওসি পেল বাকচা থানা। প্রতীকী ছবি।
একের পর এক রাজনৈতিক ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। তার জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাসপেন্ড করা হয় ময়না থানার ওসিকে। আর তার কিছুক্ষণ পরেই ওই থানায় দায়িত্ব পেয়ে নতুন ওসি রাতেই হাজির হলেন বাকচা হাইস্কুলে থাকা পুলিশ ক্যাম্পে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান নির্বাচনের সময় থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বাকচায়। অভিযোগ, শাসকের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওই সংঘর্ষ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক পুলিশ আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাশাপাশি, নব-নির্বাচিত প্রধান সুখলাল মণ্ডল এক মাস পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়। কিন্তু বুধবার ফের উত্তপ্ত হয় বাকচা। তিরবিদ্ধ হন আন্ধারিয়া গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ জানার কাকা ভুদেব জানা। ওই রাতে বাকচা পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শম্পা মণ্ডলের বাড়িতেও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় কেউ তো পড়েইনি, উল্টে গত বৃহস্পতিবার রাতেও তৃণমূল কর্মীরা ফের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ সবের জেরেই ময়না থানার ওসি মাহিউল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়। নতুন ওসি হন কাঁথি থানার সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন গোস্বামী। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বপনবাবু ময়না থানার দ্বায়িত্ব নেওয়ার পরে রাতেই পুলিশ বাহিনী নিয়ে বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অদূরে বাকচা হাইস্কুলে থাকা পুলিশ ক্যাম্পে যান। সেখানে তখন ছিলেন তমলুকের এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল। পুলিশ সূত্রের খবর, রাতেই তিনি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সনিবার সকালে গোলমাল বাকচার চাঁদিবেনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। সৌরভ এলাকায় বিজেপি সমর্থক হিসাবে পরিচিত।
বিজেপি’র তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১৫ জন সদস্য থাকা সত্ত্বেও গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মাত্র ১১ জন সদস্যদের সমর্থন নিয়ে প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। তৃণমূলের কোন্দল চাপা দিতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ গ্রেফতার করছে ও মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ এলাকার শান্তি ফেরাতে পারছে না। থানার ওসি বদল করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’’
অন্য দিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘এলাকায় আমাদের দলের লোকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। তবে কী কারণে ওসি বদল হয়েছে, তা জেলা পুলিশ বলতে পারবে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy