প্রতীকী ছবি।
গোঁজ কাঁটা নিয়ে হিমশিম! একই আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ায় প্রতীক কে পাবেন, মীমাংসা হয়নি তাও। একাধিকবার বৈঠক করেও একাধিক আসনে কাটানো যায়নি জট। ফলে অনেক আসনে প্রার্থীর প্রতীক জমা দিতে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে নেতৃত্বকে।
শুক্রবার সকাল সকাল ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সবং ব্লকের নেতারা। দলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতির উপস্থিতিতে প্রার্থীদের প্রতীকপত্র জমা দেওয়া হয়। ব্লকে এ বার বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত আসন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির বৌমা মিতা মণ্ডল মাইতি যে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সেখানে প্রতীক পেয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সদস্য ভারতী মহাপাত্র। যদিও এ বিষয়ে অমূল্য মাইতি বলেন, “দলনেত্রী ও রাজ্য সভাপতি সরাসরি আমাকে অনুরোধ করায় আমার বৌমা মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তবে এখনও দশগ্রামের একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জটিলতা থেকেই গিয়েছে। ওই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন হরেকৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মাথা পেতে নেব। তবে প্রতীক পাবার আশা রয়েছে।”
এ দিন সবং ব্লকের ২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি-সহ মোট ১৮টি আসনে প্রার্থীর প্রতীক জমা করতে পারেনি তৃণমূল। আর পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনে প্রতীকপত্র জমা হয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “কয়েকটি জায়গায় সামান্য সমস্যা রয়েছে। শনিবার সমস্ত আসনের প্রতীক জমা পড়বে।”
একই অবস্থা ডেবরা ব্লকেও। সেখানেও বেশ কয়েকটি আসনে জটিলতা থেকে যাওয়ায় প্রতীকপত্র জমা হয়নি। ডেবরায় শুক্রবার পর্যন্ত ২১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ১৭০টি এবং ৪২টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ৩২টি আসনে প্রার্থীদের প্রতীকপত্র জমা পড়েছে। ডেবরার এক প্রার্থী বলেন, “এখনও আমার প্রতীক জমা পড়েনি। এর পরেও প্রতীক জমা না পড়লে কীভাবে নির্দল হয়ে জিতে দেখাতে হয় দেখিয়ে দেব।”
যদিও তৃণমূলের ওই ব্লকের আহ্বায়ক বিবেক মুখোপাধ্যায় বলছেন, “সমস্যা সব মিটে গিয়েছে। আরও একদিন তো সময় রয়েছে। আমরা ঠিক সময়ের মধ্যেই প্রতীক জমা করে ফেলব।”
নারায়ণগড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টি এবং পঞ্চায়েত সমতির ৪৭টি মধ্যে ৩০টি প্রতীকপত্র জমা পড়েছে।
তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “সমস্ত আসনে মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। শনিবার সব আসনে প্রতীক জমা পড়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy