Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পাখি মারার ছররায় বেলদায় জখম কিশোর

টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছররার আঘাতে জখম হল এক কিশোর। মঙ্গলবার সকালে বেলদার শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমদা গ্রামের ঘটনা। আহত বছর বারোর সূর্য দাস পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সূর্যর কপালে ছররা লাগে বলে অভিযোগ।

হাসপাতালে সূর্য দাস।—নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে সূর্য দাস।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছররার আঘাতে জখম হল এক কিশোর। মঙ্গলবার সকালে বেলদার শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমদা গ্রামের ঘটনা। আহত বছর বারোর সূর্য দাস পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সূর্যর কপালে ছররা লাগে বলে অভিযোগ। জখম ওই ছাত্রকে প্রথমে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মাথায় রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় সূর্যকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমদার পাশের গ্রাম মুরাদপুরের দু’জন কিশোর প্রায়ই পাখি শিকার করে বলে অভিযোগ। ভোরের দিকে এলাকা ফাঁকা থাকে বলে সেই সময়ই পাখি শিকার চলে। অভিযোগ, এ দিনও সকালে খাকুড়দা যাওয়ার রাস্তা থেকে আমদার রাস্তায় ঢোকার মুখে বন্দুক নিয়ে পাখি শিকার করছিল তারা। সেই সময় বাড়ি ফিরছিল সূর্য। বাড়ির কাছেই তার কপালে আচমকা পাখি মারার বন্দুকের ছররা এসে লাগে বলে অভিযোগ। সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় সে। অভিযোগ, অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত দুই যুবক পালায়। জখম সূর্যকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, পাখি মারার বন্দুকের ছররা কপালে লাগায় সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে।

সূর্যর বাবা তপন দাসের অভিযোগ, “সামান্য দিনমজুরের কাজ করি। আমার দুই ছেলের মধ্যে সূর্যই বড়। পাখি শিকারের জন্য বছর পনেরোর দুই কিশোরের ছোড়া গুলি ছেলের মাথায় লাগে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ভাবে যেখানে-সেখানে পাখি শিকার তো ঠিক নয়। আমি ওই দুই কিশোরের শাস্তি চাই।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SSKM hospital Bird
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE