কাগজের ছোট্ট বই। লাল কাপড়ে মোড়া। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক বছর আগেই যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ড চালু হয়েছে, সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ দফতরে এখনও চালু রয়েছে সেই আদ্যি কালের বই। আগে পুরোটাই ছিল হাতে লেখা। ফলে, একবার লাইসেন্স হারিয়ে ফেললে তার নথি খুঁজে পাওয়া ছিল দুষ্কর। আবার নতুন করে লাইসেন্স করাতে হত। এখন কম্পিউটার প্রিন্ট আউট বের করে তা ড্রাইভিং লাইসেন্সের বইয়ে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। আধুনিক ব্যবস্থা বলতে এটুকুই।
প্রতিদিন জেলায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালকের সংখ্যা। একটা সময় বিনা লাইসেন্সেই মোটর সাইকেল থেকে চারচাকা নিয়ে পথে নামতেন অনেকে। পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে এখন লাইসেন্স তৈরির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে গড়ে ৪০-৫০টি নতুন লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ত, এখন তা হয়েছে ২০০-২৫০টি। মাঝেমধ্যে সংখ্যাটা তিনশোও পেরিয়ে যায়। এ দিকে, লাইসেন্সের বই সঙ্গে নিয়ে চলাফেরায় নানা ঝক্কি। পাতা ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আর জল পড়লে তো কথাই নেই। নিমেষে বই নষ্ট হয়ে যাবে। পুরনো পদ্ধতিতে লাইসেন্স তৈরিতে সময়ও বেশি লাগে। সেক্ষেত্রে কার্ড থাকলে কোনও হ্যাপা নেই। এটিএম কার্ডের মতো পকেটেই তা রাখা যায়। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কার্ড দেওয়াও সহজ।
কিন্তু কেন এই জেলায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ড চালু করা যায়নি?
অতিরিক্ত জেলা পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্তের জবাব, ‘‘বরাত পাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থা আদালতে চলে যাওয়ার ফলেই কার্ড তৈরির কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। নাহলে অনেক আগেই এই জেলাতেও কার্ড চালু হয়ে যেত।’’ এখন মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। অমিতবাবুর আশ্বাস, নতুন বছরের গোড়াতেই কার্ড চালু করা যাবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়েবেলকে। আগে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সংস্থা কাজ করায় রকমারি কার্ড ছিল। এ বার রাজ্য জুড়ে এক ধরনের কার্ড হবে বলেও
অমিতবাবু জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy