নিজস্ব চিত্র।
নগদ নেই। তাই ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়। সঙ্কট কাটাতে এ বার তাই ‘পিওএস মেশিন’ (পয়েন্ট অব সার্ভিস) আনতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মেদিনীপুর শাখা। ক্রেতারা যাতে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করতে পারেন সেই জন্য এই যন্ত্র ইচ্ছুক ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সঙ্গে চেষ্টা চলছে ‘ছোট এটিএম’ আনার। এসবিআইয়ের মেদিনীপুর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শক্তিকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথমে ১০০টি ‘পিওএস মেশিন’ চেয়েছি। ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী উৎসাহও দেখিয়েছেন। আর ছোট এটিএমগুলি পেলে বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’
কিন্তু মেদিনীপুরের মতো মফস্সল শহরে কার্ডে কেনাকাটার এই যন্ত্র কতটা সাড়া ফেলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে একাংশ ব্যবসায়ীর। কারণ, এখানে ক্রেতাদের একটা বড় অংশ গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের পক্ষে কার্ডে কেনাকাটা সমস্যার। তা ছাড়া, কার্ডে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকেও কিছুটা টাকা দিতে হবে। বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ব্যবসায়ী সলিল দে বলেন, ‘‘পিওএস মেশিন রাখলে ব্যাঙ্ককে একটা ন্যূনতম শতাংশ কমিশন দিতে হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে কিছু কিছু সরঞ্জামের ক্ষেত্রে লাভের অঙ্ক এতটাই কম যে ওই কমিশন দিতে হলে নিজের পকেট থেকেই যাবে।’’ মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান উদয় পালও বলছেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে সরকার ওই কমিশন তুলে দিলে ক্রেতা ও বিক্রেতা— দু’পক্ষই উপকৃত হতেন। তাহলে ব্যবসায়ীরাও কার্ডের মেশিন রাখতে উৎসাহী হবেন।’’
ব্যাঙ্কের পাল্টা যুক্তি, কমিশন বাবদ যে টাকা নেওয়া হয় তা সামান্য। স্টেট ব্যাঙ্কের মেশিনে যদি স্টেট ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা হয় তাহলে মাত্র .৭৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ১.৫ শতাংশ। শক্তিবাবুর মতে, “কার্ডে যেখানে এত সুবিধে, সেখানে এই ন্যূনতম খরচ গায়ে লাগার কথা নয়।’’ বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘ক্যাশলেস’ ব্যবস্থার প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে মেদিনীপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি আলোচনাসভা করা হবে। সংগঠনের চেয়ারম্যান উদয়বাবু বলেন, ‘‘এখন নগদে ব্যবসা কমানোর উপরে জোর দিতেই হবে। এ ব্যাপারে সকলের মতামত নিতেই আলোচনাসভা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy