ক্যাশলেস: বেতের বোনা ধামা-কুলো থেকে মাটির জিনিস, মেদিনীপুরে রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় নগদ ছাড়াই চলল বিকিকিনি। ছবি: কিংশুক আইচ
মেদিনীপুরের কোনও মেলায় এই প্রথম এলেন সৌমেন ঘোষ, গৌরব সাহারা। হুগলির শিল্পী সৌমেনরা রং-তুলিতে নানা নকশা তোলেন টি-শার্ট, কুর্তির গায়ে। মেদিনীপুরে হস্তশিল্প মেলায় স্টল দেওয়ার আগে কিছুটা আশঙ্কাতেই ছিলেন ওঁরা। নোট-সঙ্কটে বিকিকিনি হবে তো! মেলার শেষলগ্নে অবশ্য সৌমেনদের মুখে চওড়া হাসি। বলছেন, “এখনও মানুষের হাতে খুচরো কম। তারই মধ্যে ভাল বিকিকিনি হয়েছে।” একই মত অন্য জেলা থেকে আসা হস্তশিল্পীদেরও। সকলেই মানছেন, ব্যবসা খারাপ হয়নি।
খুচরোর জোগানে টানের কথা মাথায় মেলার স্টলগুলিতে কার্ডে কেনাকাটার ব্যবস্থা ছিল। ছিল পেটিএমের বন্দোবস্তও। ইতিমধ্যে প্রায় দু’কোটি টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে এই মেলায়। ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের এক কর্তার কথায়, “মাধ্যমিক শেষের পরে ভিড় আরও বেড়েছে। বিকেল হলেই মেলার মাঠে লোকজন গিজগিজ করছে। নানা জিনিস বিকিকিনি হচ্ছে।”
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে রাজ্য হস্তশিল্প মেলা। আজ, রবিবার মেলার শেষ দিন। এর আগে ২০১১ সালে মেদিনীপুরে রাজ্য হস্তশিল্প মেলা হয়েছিল। সে বার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে রাজ্যের পাঁচটি জায়গায় এই মেলা হয়েছে। কলকাতা-সহ চারটি জায়গায় আগেই মেলা হয়েছিল। শেষ মেলাটি হল মেদিনীপুরে। বাঁশের কাজ, পট, মাটির কাজ থেকে পুঁতির কাজ— রাজ্যের প্রায় সব জেলার হস্তশিল্প সামগ্রীর স্টল রয়েছে মেলায়। প্রায় ৮০০ জন শিল্পী মেলায় এসেছেন। অনিন্দিতা সামন্তের কথায়, “অনেক দিন পরে এক জায়গায় এত জিনিসের স্টল পেলাম। বেশ কয়েকদিন এসেছি। রোজই কিছু না কিছু কিনেছি।” সোমা দাস, সঙ্গীতা পালরাও বলছিলেন, “মেলায় নানা জিনিস ছিল। আগামী পুজোর জন্যও কেনাকাটা করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy