Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

তল্লাশির অজুহাতে চুরি, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার

জাতীয় সড়কে গাড়ি আটকে তল্লাশির জন্য ট্র্যাফিক পয়েন্ট চালু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। জেলা পুলিশের সেই ট্র্যাফিক পয়েন্টে মাল বোঝাই একটি লরি থেকে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি তল্লাশির অজুহাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২২
Share: Save:

জাতীয় সড়কে গাড়ি আটকে তল্লাশির জন্য ট্র্যাফিক পয়েন্ট চালু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। জেলা পুলিশের সেই ট্র্যাফিক পয়েন্টে মাল বোঝাই একটি লরি থেকে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি তল্লাশির অজুহাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে।

গত ৭ এপ্রিল ভোরে কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনায় জেলার পুলিশ মহলে আলোড়ন পড়েছে।

ঘটনার কথা স্বীকার করে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক পুলিশের কয়েকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া (ডিমোবিলাইজ) হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তও করা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে অ্যালুমিনিয়াম পাত বোঝাই একটি লরি হলদিয়ায় এসেছিল ৬ এপ্রিল রাতে। ওই মালপত্র পৌঁছে দেওয়ার পর রাতেই চালক লরি নিয়ে কলকাতায় ফেরার জন্য রওনা হন। যাওয়ার পথে ভোর ৪ টা নাগাদ কোলাঘাট থানার হলদিয়া মোড়ের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্র্যাফিক পয়েন্টে থাকা পুলিশ আধিকারিক-কর্মীরা লরিটি আটক করে কাগজপত্র পরীক্ষা করে এবং গাড়িতে তল্লাশি চালায়।অনিয়মের অভিযোগে ওই গাড়ির চালকের কাছ থেকে ৩২০০ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়।

তবে ওই গাড়ির চালকের অভিযোগ, গাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তিনি দেখেন গাড়ির সামনে থাকা ব্যাগে রাখা নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা উধাও। এ নিয়ে লরি চালকের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে ট্র্যাফিক পুলিশের। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কাছে। দিব্যেন্দুবাবুর হস্তক্ষেপে জেলা পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

প্রাথমিকভাবে তদন্তের ভিত্তিতে এই ঘটনায় জড়িত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে তাঁর কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ট্র্যাফিক পুলিশ-সহ অন্য কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Civic volunteer Searching Steal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE