বাড়ির সামনে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বসাতে বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বেলদায়। ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে শাসক দলের নাম। মনোরঞ্জন পাত্র নামে ওই ব্যবসায়ী রবিবার রাতে বেলদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, বেলদা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অলোক রায় তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা চালিয়েছেন। গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলদা বাজারের ওই এলাকায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা আছে। সম্প্রতি সেখানে ট্রান্সফর্মার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ বন্টন দফতর। বাজারের ওই এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় ট্রান্সফর্মারের জন্য জায়গার সমস্যার রয়েছে। দিন কয়েক আগে বিদ্যুৎ বন্টন দফতর মনোরঞ্জনবাবুর বাড়ির সামনে ওই ট্রান্সফর্মার বসানোর কথা জানায়। দফতরে আপত্তি জানান ওই ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, ওই বাড়ির নীচে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও এটিএম রয়েছে। ট্রান্সফর্মার বসানো হলে ব্যাঙ্কে ঢোকা-বেরনোয় সমস্যা হবে। তাই একটু দূরে ট্রান্সফর্মার বসানোর দাবি জানান মনোরঞ্জনবাবু।
তারপরেও রবিবার ব্যাঙ্কের সামনে ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, মনোরঞ্জনবাবু বাধা দিলে তৃণমূলের লোকজন চড়াও হয়। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, “আমার কাছে ট্রান্সফর্মার সরানোর জন্য টাকা চেয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। আমি দিতে রাজি হইনি। তাই পঞ্চায়েত সদস্য অলোক রায় জোর করে ট্রান্সফর্মার আমার বাড়ির সামনে বসাতে চাইছিল। আমি আপত্তি করায় আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে অলোক রায় আমাকে মারধর করেছে।”
সোমবার বেলদা ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির সঙ্গে দেখা করেন। যদিও অলোক রায়ের দাবি, ‘‘আমি পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে ওই ব্যবসায়ীকে ট্রান্সফর্মার বসানোর অনুমতি দেওয়া নিয়ে অনুরোধ করেছিলাম মাত্র। মারধরের অভিযোগ মিথ্যে।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের আবার বক্তব্য, “ট্রান্সফর্মার বসাতে ওই ব্যবসায়ী বাধা দিয়েছিলেন। তাই ওঁর সঙ্গে স্থানীয়দের গোলমাল হয়েছে। এর সাথে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
এ দিকে এমন অশান্তি জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ। কবে কাজ শুরু হবে স্পষ্ট নয়। বিদ্যুৎ দফতরের বেলদার স্টেশন ম্যানেজার পৃথা মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ-প্রশাসন মীমাংসার মাধ্যমে জমি ঠিক করে দিলেই কাজ শুরু হবে।’’